• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরে হচ্ছে `বে-টার্মিনাল`

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ জুন ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

চট্টগ্রাম বন্দরের হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে 'বে-টার্মিনাল' নির্মাণ করা হচ্ছে। যেখানে ২৪ ঘণ্টাই জাহাজ ভিড়তে পারবে। গত মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বে-টার্মিনাল প্রকল্পের মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং মাল্টিপারপাস টার্মিনালের বিস্তারিত প্রকৌশল নকশা, ড্রয়িং ও প্রাক্কলনে পরামর্শক সেবার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ কোম্পানি কুনহোয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানি লিমিটেড-ডি ওয়াই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সম্পূর্ণ বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২১০ কোটি ডলার। বে-টার্মিনাল নির্মাণ কাজের তদারকির জন্য ব্যয় হবে ১২৬ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান এবং যৌথ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কুনহোয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট হোয়াং কিউ ইয়াং।

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন তাই করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশ পরিচালনা করেন তিনি।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা এখন বলতে পারি বে-টার্মিনাল স্বপ্ন নয়, এটি এখন বাস্তবতা। এর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেক বড় ক্যানভাস তৈরি হয়েছে। শিগগির এই ব্যবসা-বাণিজ্যের সুফল পাওয়া যাবে। চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালও শিগগির চালু হতে যাচ্ছে। বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে রেললাইন যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েও নৌমন্ত্রণালয় এগোচ্ছে। এতে আরও বক্তব্য দেন নৌপরিবহন সচিব মোস্তফা কামাল।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে নির্মাণাধীন 'বে-টার্মিনাল' চ্যানেলে কোনো বাঁক নেই এবং যথোপযুক্ত নাব্য থাকায় সেখানে ১০-১২ মিটার ড্রাফটের সর্বোচ্চ ৬ হাজার টিইইউজ বহন ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হবে। বে-টার্মিনালে প্রাথমিকভাবে তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। যেখানে একটি ১ হাজার ২২৫ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার টার্মিনাল (কনটেইনার টার্মিনাল-১), একটি ৮৩০ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার টার্মিনাল (কনটেইনার টার্মিনাল-২) এবং একটি ১ হাজার ৫০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। তিনটি টার্মিনালের মোট দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার। মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ টার্মিনালে জেটি থাকবে ছয়টি। বে-টার্মিনালে মোট ১৩টি জেটি থাকবে।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, বে-টার্মিনালে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি সুবিধা থাকবে। প্রকল্পের পূর্ব দিকে রয়েছে পোর্ট অ্যাকসেস রোড ও রেলপথ। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিগুলোতে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের এবং ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়তে পারে। চট্টগ্রাম বন্দর জোয়ারের ওপর নির্ভর হওয়ায় দিনে দু'বার নেভিগেশন হয়ে থাকে। বন্দর থেকে ছয় কিলোমিটার পশ্চিমে উত্তর হালিশহরে বে-টার্মিনালের অবস্থান। বে-টার্মিনাল থেকে বহির্নোঙরের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। চ্যানেলের প্রশস্থতা ৮০০-১ হাজার ২০০ মিটার। বে-টার্মিনালকে বৈরী আবহাওয়া এবং সাগরের বড় ঢেউ থেকে রক্ষা করতে একটি পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রেক ওয়াটার নির্মাণ করতে হবে, যা ওই এলাকায় অবস্থিত ডুবোচরের ওপর নির্মিত হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here