• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ফ্রি কলসেন্টার থেকে আইনি পরামর্শ পেয়েছেন ১৪৯৮১৮ জন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

সরকারি আইনি সহায়তা জাতীয় হেল্পলাইন কলসেন্টারে (টোল ফ্রি-১৬৪৩০) এক লাখ ৪৯ হাজার ৮১৮ জন আইনি পরামর্শ সেবা পেয়েছেন। জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) মাধ্যমে এ সেবা দেয়া হয়েছে।

সরকারি আইনি সহায়তা জাতীয় হেল্পলাইন কলসেন্টারে (টোল ফ্রি-১৬৪৩০) সেবাটি ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছিলেন। সে থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রাপ্ত এই আইনি সেবার তথ্য জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।

জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, কলসেন্টার স্থাপনের পূর্বে হটলাইনের মাধ্যমে সেবা দেয়া হয় ১৭ হাজার ৩২৮ জনকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি তথা এর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ ৭৪ হাজার ১০৫ টি মামলায় এবং এতে উপকারভোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫৯ জন। ২০১২ সাল হতে ২০২২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ১ লাখ ২ হাজার ৪৫ জন কারাবন্দীকে ৬৪ জেলা কমিটির মাধ্যমে আইনি সহায়তা দেয়া হয়।

সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ, দেশের সব নিম্ন আদালত, শ্রম আাদালতে সরকারি খরচায় অসচ্ছল জনগোষ্ঠীকে লিগ্যাল এইড দেয়া হয়।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা ক্ষুদ্র জাতি সত্তা সম্প্রদায়ের দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আইনি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা আইনগত সহায়তা প্রদান নীতিমালায় ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল,অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রণয়ন করে। ২০০০ সালে তৎকালীন শাসন আমলে আইনটি প্রনয়ন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তারপরের সরকারগুলো আইনটি কার্যকরে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আইনটি কার্যকরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।

২০০০ সালে প্রনীত এই আইন অনুযায়ী ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ গঠন করা হয়। এর ব্যাপ্তি সুপ্রিমকোর্ট, দেশের সকল জেলা, অধঃন্তন আদালত, শ্রম আদালত, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এখন প্রতিষ্ঠিত। জেলা কমিটি গঠন, প্রতিটি জেলা জজ আদালতে এর কার্যালয় রয়েছে। নানা প্রচার, প্রচরণা, সেমিনার-কর্মশালা ও প্রকল্পের মধ্য দিয়ে এ সেবা এখন মানুষের দোড়গোড়ায়। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন এ সেবাকে অরো সহজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here