রংপুর অঞ্চলে মাষকলাইয়ে আগ্রহ ফেরাতে প্রণোদনা
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১
Find us in facebook
পুষ্টিগুণ ও স্বাদেভরা মাষকলাই চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন রংপুর অঞ্চলের কৃষক। চাষের অনুকূল আবহাওয়া ও উপযোগী মাটি থাকা সত্ত্বেও দিনে দিনে এ অঞ্চলে কমছে মাষকলাইয়ের চাষ।
উন্নত জাত ও আবাদের ধরন এবং ফলন বিষয়ে যথাযথ ধারণা না থাকা, উৎপাদিত মাষকলাই বাজারজাতকরণে সমস্যা এবং অতীতের তুলনায় ভোক্তা কমে যাওয়ায় আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা। ফলে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এ অঞ্চলে খুব অল্প পরিমাণ জমিতেই আবাদ হচ্ছে মাষকলাই।
তবে সরকারিভাবে এবার প্রণোদনার আওতায় আসায় শষ্যভাণ্ডার খ্যাত রংপুর অঞ্চলে আবারও মাষকলাইয়ের ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সঠিক বাজারজাত ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের পাশাপাশি ভোক্তা পর্যায়ে আগ্রহ বাড়ানো গেলে আমদানিনির্ভর ডালের পরিবর্তে অপার সম্ভাবনাময় ফসল হতে পারে মাষকলাই এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রংপুর অঞ্চলে সাধারণত খরিপ-১ ও ২ এবং রবি মৌসুমে মাষকলাই আবাদ হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে কম আবাদ হয় রবি মৌসুমে।
২০১৮-১৯ মৌসুমে এ অঞ্চলে আবাদ হয়েছে ৮৬০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে গাইবান্ধায় ৮৫০ এবং লালমনিরহাটে ১০ হেক্টর। ২০১৯-২০ মৌসুমে এ অঞ্চলে ৫৩৫ হেক্টর জমিতে মাষকলাইয়ের আবাদ হয়। আর ২০২০-২১ মৌসুমে এ অঞ্চলে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৩০ হেক্টর জমি।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের ওমর গ্রামের কৃষক জোবেদ আলী জানান, বাবা-চাচারা মাষকলাই আবাদ করতেন। সময় বেশি লাগে বলে তিনি মাষকলাই বাদ দিয়ে স্বল্পমেয়াদী ফসলে ঝুঁকেছেন।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার রুদ্রেশ্বর গ্রামের কৃষক নায়েব আলীও একই কথা জানান। তিনি জানান, মাষকলাই আবাদটা বেশি দিনের জন্য। ছয় মাসে আসে এর ফলন। এদিকে ছয় মাসে আবাদ আসে দুইটা। মূলত মাষকলাই চর এলাকার জন্য প্রযোজ্য। তাই তিনিও মাষকলাই আবাদ করেন না।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৪নং ওয়ার্ডের কৃষক মমিনুল ইসলাম জানান, অনেক আগে মাষকলাই চাষ করেছেন। তাতে লাভবানও হয়েছেন। বর্তমানে ফলন কম এবং লাভজনক না হওয়ায় মাষকলাইয়ের পরিবর্তে অন্যান্য ফসল আবাদ করছেন।
এ বিষয়ে সমাজ পরিবর্তন ও উন্নয়ন ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাব্বির আরিফ মোস্তফা বলেন, আগে আমাদের বাপ-দাদারা মাষকলাইয়ের ডাল বেশি করে খেতেন। পরবর্তীতে আমরাও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পারি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রণোদনা হিসেবে কৃষক পর্যায়ে বীজ সরবরাহ করছে। এর পাশাপাশি মনিটরিং ও আবাদ বৃদ্ধি করা গেলে বাইরে থেকে ডাল আমদানি কমবে এবং মাষকলাইয়ের পুষ্টিগুণ নিশ্চিত হবে বলে মনে করি।
কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাষকলাই চাষে খরচ খুবই কম। এটির তেমন পরিচর্যাও করতে হয় না। একর প্রতি খরচ হয় প্রায় দুই হাজার টাকা। কিন্তু ফলন মেলে একর প্রতি প্রায় ২০ মণ করে। প্রতি মণ মাষকলাইয়ের বাজার মূল্য প্রায় এক হাজার ৬০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা।
রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্যান বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ খোন্দকার মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, একটা সময় এ অঞ্চলে মাষকলাই চাষের প্রচলন ব্যাপকভাবে ছিল। সাধারণত নদী তীরবর্তী এলাকায় এর চাষ হয়। এছাড়া অন্যান্য এলাকায় লাভজনক হিসেবে কৃষক এ ফসল আবাদ করেন।
তিনি বলেন, গত মৌসুমে এ অঞ্চলে ৫৩৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে রবি মৌসুমে হয়েছিল ৫ হেক্টর জমি। বাকি ৫৩০ হেক্টর জমির আবাদ হয়েছিল খরিপ-১ ও খরিপ-২ মৌসুমে।
তিনি আরও বলেন, বাজারজাতকরণের অভাবে এ অঞ্চলে মাষকলাই চাষ বাড়ানো যাচ্ছে না। আগে খাবার হিসেবে এর যে প্রচলন ছিল এখন তা নেই। মানুষ অন্যান্য ডালের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তিন মৌসুমেই মাষকলাই আবাদে সময় লাগে ৬৫ থেকে ৭০ দিন।
বর্তমানে এর নতুন জাত উদ্ভাবন হয়েছে। অনেক কৃষক হয়ত সে বিষয়ে জ্ঞাত না। এর বিবিধ ব্যবহার ও মানুষের খাদ্যাভ্যাস বাড়ানো গেলে মাষকলাই সম্ভাবনাময় ফসল হয়ে উঠতে পারে।
তিনি আরও বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় ও কষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে মাষকলাই চাষ বৃদ্ধির নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর পুষ্টিগুণ বিষয়ে ধারণা ও আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষক এবং সাধারণ মানুষের মাঝে প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। প্রণোদনা হিসেবে কৃষকের মাঝে বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চলে মাষকলাই চাষ বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো : মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- ‘উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি’
- তীব্র গরমেও শীতল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- চাই না মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসুক
- ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ কমাতেই হবে
- খুলেছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- রৌমারীতে মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি ও জীবনাশের অভিযোগে মানববন্ধন
- `জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি` ব্রিটিশ স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন
- আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ২ কর্মীকে জরিমানা
- হাবিপ্রবিতে কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন
- ফুলবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের শরবত বিতরণ
- তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন
- সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
- হাকিমপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই
- হাতীবান্ধায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নতুন কমিটি ঘোষণা
- গঙ্গাচড়ায় মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করলেন এমপি
- বিশাল কারখানায় নেই ফ্যান-এসি
- হেলিকপ্টারে করে বউ আনলেন পোশাকশ্রমিক
- গোবিন্দগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত, আটক ২
- চিলমারীতে প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- পীরগঞ্জে মাদকসহ গ্রেফতার ২
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- চিলমারীতে বৃষ্টির জন্য ৩য় দিন ইসতিসকার নামাজ আদায়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- হিলিতে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ রক্তিম
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- ঢাকায় ইসরায়েলের বিমান
- বদরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা