• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

কারাগারে ‘মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র’ চালু

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

মাদকাসক্তদের সুস্থ করতে দেশের সব কারাগারে গড়ে তোলা হয়েছে ‘মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র’। মাদকাসক্ত কোনো অপরাধী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেলে তাকে পাঠানো হয় ওই কেন্দ্রে। সেখানে কারো অবস্থা জটিল হলে তাকে বাইরের হাসপাতালে পাঠানো হয়। দেশের ৬৮টি কারাগারে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে আড়াই হাজারের বেশি মাদকাসক্ত বন্দিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মাদকাসক্ত বন্দিদের মানসিক বিকাশ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে রূপান্তরের এটি একটি উদ্যোগ।

কারা সূত্র জানায়, দেশের ৬৮টি কারাগারে বন্দি ধারণক্ষমতা  রয়েছে ৪২ হাজার ১৫০ জনের। এর মধ্যে পুরুষ ৪০ হাজার ২২১ জন এবং নারী এক হাজার ৯২৯ জন। এসব কারাগারে গত ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্দি ছিল ৮২ হাজার ৬৫৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ বন্দি ৭৯ হাজার ৪৫৬ জন এবং নারী বন্দি তিন হাজার ২০০ জন। এই বন্দিদের মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি মাদকাসক্ত রয়েছে। যাদের অবস্থা বেশি খারাপ এমন আড়াই হাজারের বেশি বন্দিকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছর দেড়েক আগে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ‘মাদক নিরাময় কেন্দ্র’ চালু হয়। কারাগারের ভেতরে হাসপাতালের পাশের ভবনের একটি ওয়ার্ডকে নিরাময় কেন্দ্র বানানো হয়। কারাগারে নেওয়ার পর যেসব বন্দি মাদকাসক্ত বলে প্রমাণিত হয়, তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ওই কেন্দ্রে। কেরানীগঞ্জে বর্তমানে ৪০ থেকে ৫০ বন্দিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, ‘মাদকাসক্ত বন্দিদের কাউন্সেলিং করা হয়। নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বন্দিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য চিকিৎসক রয়েছেন।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কারাগারে মাদকাসক্ত বন্দিদের কাউন্সেলিং করা হয়। সুষ্ঠু কারা ব্যবস্থাপনার জন্য রুটিনকাজের পাশাপাশি কারাগারে মাদকাসক্ত বন্দিদের জন্য  ‘মাদকাসক্ত নিরাময় ইউনিট’ চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বছর দেড়েক আগে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব কারাগারে এটি চালু করা হয়। প্রথমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চালু করার পর দেশের অন্যান্য কারাগারেও চালু করা হয়।

কারা সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর প্রথমে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন কারাগারে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগের কারা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কারা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেশের সব কারাগারে একটি করে মাদক নিরাময় কেন্দ্র চালু করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। পরে কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়। এরপর বছর দেড়েক আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারা কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে কারাগারে যত বন্দি রয়েছে, বেশির ভাগই মাদক মামলার। এদের মধ্যে যারা মাদকাসক্ত, তাদের চিহ্নিত করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে অনেক ভালো ফলও পাওয়া যাচ্ছে।’

Place your advertisement here
Place your advertisement here