• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

উইঘুরের স্বাধীনতা আন্দোলন ও স্ব-নির্ভরশীলতায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষত মুসলিমদের ওপর চীন সরকারের আচরণকে ‘গণহত্যা’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নেদারল্যান্ডসহ বিশ্বের আরো অনেক রাষ্ট্র। প্রদেশটিতে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নারীরা। আবার তারাই উইঘুরদের স্বাধীনতা আন্দোলন ও স্ব-নির্ভরশীলতায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সম্প্রতি ফরেইন পলিসি ডটকমের এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, উইঘুরে মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চীন সরকারের আচরণ স্বৈরাচারী শাসকদের অত্যাচারের চেয়েও ভয়াবহ। ২০১৭ সাল থেকে উইঘুরদের প্রতি বেইজিংয়ের নীতি হলো- ব্যাপক নজরদারি, জোরপূর্বক শ্রম, জোরপূর্বক গর্ভপাত, মসজিদসহ উপাসনার স্থানগুলো ধ্বংস, জাতিগত ঐতিহ্যবাহী স্মৃতি ধ্বংস এবং সমাধিসৌধগুলোর অবমাননা করা।
বেইজিংয়ের নিষ্ঠুর কৌশলের টার্গেট উইঘুর নারীরা। গত বছর অ্যাড্রিয়ান জেনস নামের এক গবেষক জানায়, অঞ্চলটিতে জন্মহার কমানোর লক্ষ্যে চীনা প্রশাসন ৩৭ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যেটির প্রভাবে ২০১৯ সালে কেবল জিনজিয়াং প্রদেশেই ২৪ শতাংশ জন্মহার কমেছে। আর অন্যান্য সকল প্রদেশ মিলিয়ে এই হার মাত্র ৪ দশমিক ২ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উইঘুরের স্বাধীনতা ও স্ব-নির্ভরশীলতার ক্ষেত্রে নারীরা একেকজন যোদ্ধা। বিগত বছরগুলোতে অসংখ্য উইঘুর ও কাজাখ নারী চীন থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এরপর তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। এমনকি নিজ এবং পরিবারের বিরুদ্ধে চীনা প্রশাসনের হুমকি থাকা সত্ত্বেও।

২০১৯ সালে অসিয়ে আবদুলাহেদ নামের এক উইঘুর নারী সর্বপ্রথম কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ফাঁস করে। যেখানে অঞ্চলটিতে থাকা ক্যাম্পগুলোর ভেতরকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ভয়াবহ তথ্য ছিল। এ ঘটনায় তার পরিবারের ওপর স্থানীয় প্রশাসনের ব্যাপক হুমকি নেমে আসে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন পেশা যেমন সাংবাদিকতা, আইন, সাহিত্য ও শিল্পকর্মের মাধ্যমে নিজেদের অভিজ্ঞতাগুলো আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রচার করছে নারীরা। এর মধ্য দিয়ে চীনা প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে তারা।

ওয়াশিংটন ভিত্তিক উইঘুর আইনজীবী রায়হান আসাত বলেন, উইঘুর নারীরা এই গণহত্যায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে বলে মনে করি। যৌন নির্যাতন, চিকিৎসা ও জেরপূর্বক শ্রমের মাধ্যমে তাদের শারীরিকভাবে পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে।

সেখানে আরো গল্প রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারাই অঞ্চলটি থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হচ্ছে তারা নিজেদের প্রিয়জনদের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এটি হৃদয় বিদারক গল্প। পাশাপাশি নারীদের শক্তিশালী গল্পও রয়েছে। কারণ, তারা সবকিছু মোকাবিলা করে এখনো নিজেদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে।
 

Place your advertisement here
Place your advertisement here