• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

করোনা মোকাবেলায় রংপুরে বাড়ল ১৩ আইসিইউ বেড

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১৩টি বেড বাড়ানো হয়েছে। রোগীর স্বজনসহ বিশিষ্টজনরা বলছেন, একটা বিভাগে করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য আইসিইউ বেড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আইসিইউ বেড বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গতবছরের এপ্রিলে রংপুর নগরীর পুরাতন সদর হাসপাতাল সংলগ্ন ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ১০টি এবং ওই সময়ে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬টি বেড স্থাপনের মধ্যদিয়ে করোনা রোগীদের আইসিইউ সুবিধা দেয়া শুরু হয় এই বিভাগে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে রংপুরের ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ৫০টি আইসিইউ বেড স্থাপনের বরাদ্দ দিলেও প্রথম পর্যায়ে ১০টি স্থাপনের পর চলতে থাকে বাকিগুলোর কাজ। একবছর পর আবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আইসিইউ বেড বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ফলে ১৩টি বেড বাড়ানো হয় নগরীতে।

এদিকে, বিভাগে প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সংক্রমণের সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। যতই দিন যাচ্ছে ততই করোনার চিকিৎসা সেবা নিয়ে শঙ্কিত হচ্ছেন আক্রান্ত রোগীরা।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের আট জেলার করোনা রোগীদের জন্য ৩৯টি আইসিইউ বেড রয়েছে। এরমধ্যে দিনাজপুরের এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬টি, রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ১০টি, রংপুরের কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি ও প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইটি এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০টি বেড রয়েছে। এছাড়া পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় সরকারি বা বেসরকারিভাবে করোনো রোগীদের চিকিৎসায় কোনো আইসিইউ সুবিধা নেই।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানায়, রংপুর বিভাগের আট জেলায় বিশেষায়িত ১২টি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫০৬টি বেড রয়েছে। ৫০৬ শয্যার মধ্যে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ১০০টি, রংপুর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ২০, হারাগাছ হাসপাতালে ৩১টি, দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০টি, পঞ্চগড় আধুনিক সড়ক হাসপাতালে ২০, নীলফামারীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ১০০টি, কুড়িগ্রামে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ৫০টি, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ৫০টি, গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ২০টি, লালমনিরহাট নার্সিং কলেজে ১২টি, লালমনিরহাট রেলওয়ে হাসপাতালে ১৫ এবং লালমনিরহাট সরকারি কলেজের মহিলা হোস্টেলে ৬৪টি বেড রয়েছে।

বিভাগের ৫৮ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোকে করোনা রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরমধ্যে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে বেড সংখ্যা ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০টি করা হচ্ছে।

করোনার দ্বিতীয় টেড শুরুর পর চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষ দিকে সংক্রমণের হার বাড়তে থাকে এই বিভাগে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় দিনে (১৫ এপ্রিল-২০ এপ্রিল) করোনায় আক্রান্ত হয়ে রংপুর বিভাগে আটজন মারা গেছেন। এরমধ্যে শুক্রবার একদিনেই মারা গেছেন চারজন। এ ছয় দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮৫ জন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here