• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

পঞ্চগড়ে বলাৎকারের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক কারাগারে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে মাদরাসার ছয় ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন হাফেজ মিজানুর রহমান নামের এক প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই মাদরাসা শিক্ষককে জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলার দেবীগঞ্জ পৌর শহরের আলহেরা মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাদরাসার ছয় ছাত্রকে হেফাজতে নেওয়া হয়।

মিজানুর রহমান আলহেরা মাদরাসায় প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ গোড় গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আলহেরা মাদরাসায় আবাসিক ও অনাবাসিক ব্যবস্থায় পাঠদান চালু রয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মাদরাসা কর্তৃপক্ষ প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ পেলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পুলিশকে না জানিয়ে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে। চাকরিচ্যুত হলেও জনরোষের ভয়ে ওই শিক্ষক মাদরাসায় অবস্থান করলে গতকাল বুধবার বিষয়টি জানাজানি হয়।

বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ তৈরি হয়। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে রাত পৌনে ৮টায় উপস্থিত হলে মাদরাসা কমিটি মাদরাসা ভাঙচুরের অভিযোগ এনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে। ছাত্রদের ভয়-ভীতি ও মারধর করে তিনি এই অপকর্ম করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টির ব্যাপারে আলহেরা মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই প্রধান বলেন, গত ৭/৮ বছর থেকে এখানে শিক্ষকতা করছেন মিজানুর রহমান। তার বিরুদ্ধে গতকাল এক অভিভাবক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনলে তাকে জরুরি মিটিংয়ের মাধ্যমে মাদরাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মাদরাসা শিক্ষককে জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here