• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

পঞ্চগড়ে কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে কিছু সময় রোদের দেখা মিললেও উত্তাপ ছড়ানোর আগে আবারও কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।

রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি। দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৮ দশমিক ১ ডিগ্রি। তবে উত্তরের হিমশীতল বাতাসে হাড় কাঁপানো শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে দুঃস্থ, ছিন্নমূল আর খেটে খাওয়া মানুষের। এদের অনেকেই শীতের কারণে কাজে যোগ দিতে পারছেন না। শীতবস্ত্রের অভাবে রাতে ঠিকমত ঘুমাতেও পারেন না অনেকে।

জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এ মৌসুমে জেলার পাঁচ উপজেলায় সরকারিভাবে ২৮ হাজার ৫৫০টি শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিদিন জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে শীতবস্ত্রসহ শীতের কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে জেলার প্রায় দুই লাখ দুঃস্থ শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বলের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় কম। ফলে এখনো বিভিন্ন এলাকার অনেক দুঃস্থ মানুষ শীতের কম্বল পাননি। দুঃস্থদের অনেকেই শীতের কারণে কাজে যোগ দিতে পারছেন না। শীতবস্ত্রের অভাবে রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারেন না।

এদিকে রোববার রাতে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে চার শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতের কম্বল বিতরণ করেছেন পঞ্চগড়-১ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা। তিনি বেসরকারি পর্যায়ে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে এলাকার দুঃস্থদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণের আহ্বান জানান সংসদ সদস্য মুক্তা।

এ সময় পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া খাতুন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আল তারিকসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের তাসের পাড়া গ্রামের ইজিবাইক চালক আনিছুর রহমান বলেন, আমি জীবনে কোনদিন একটি কম্বল পাইনি। এবারও পাইনি। কিন্তু শীতের জন্য রাতে ঘুমাতে অনেক আমাদের কষ্ট হয়।

শীতের কম্বল পাননি বলে জানালেন জেলা শহরের পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের ডোকরোপাড়া মহল্লার মো. শাহীনের স্ত্রী আনজুয়ারা বেগম। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে একবার শীতের কম্বল পেয়েছিলাম। সেই কম্বলের অস্তিত্ব নেই। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত কারো কাছে কোনো কম্বল বা শীতবস্ত্র পাইনি।

জেলা শহরের মসজিদপাড়া মহল্লার দিনমুজুর আইনুল ইসলাম এবং তার ভাই জাহেরুল ইসলাম বলেন, আমরা অনেক বছর আগে একবার শীতের কম্বল পেয়েছিলাম। এরপর থেকে এখানে কোনো কম্বল বিলি করা হয়নি। আমরাও আর কম্বল পাইনি। আমাদের টিন এবং বেড়ার বাড়ি। রাতে বাতাস ঢুকে। শীতের রাতে ঘুমাতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, শীতপ্রবণ জেলা হিসেবে প্রতি বছর পঞ্চগড়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত কম্বল বিতরণ করা হয়। এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে এবারে শীতের শুরু নির্বাচনকালীন হওয়ায় পাঁচ উপজেলার ইউএনও এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রাপ্ত শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারিভাবেও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রত্যন্ত এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। সরকারিভাবে আরও কম্বলের চাহিদা রয়েছে। এজন্য আরও শীতবস্ত্র চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। নতুন করে কম্বল বা শীতবস্ত্র পাওয়া গেলে দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here