নীলফামারীতে এক’শ বিঘায় কফি চাষ সম্প্রসারণ করবে কৃষি বিভাগ
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২০
Find us in facebook
নীলফামারী জেলায় শুরু হয়েছে কফি চাষ। আগামী এক মাসের মধ্যে জেলায় অন্তত এক’শ বিঘায় কফি চাষ সম্প্রসারণ করবে কৃষি বিভাগ। তাই কফির নতুন ফসল উৎপাদনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জেলার কফি চাষীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, নীলফামারী জেলার মাটি ও আবহাওয়া কফি চাষের উপযোগী হওয়ায় সমতলে বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষ করা সম্ভব। তাই মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী এক মাসের মধ্যে সম্ভাবনাময় এই কফি চাষের পরিধি বাড়ানো হবে। এতে করে লাভবান হবেন এলাকার কৃষক, সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা।
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামের কফি চাষী সুলতান আলী বলেন, একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় এবং পরামর্শে ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ জমিতে একশ কফি চারা রোপণ করি। এক বছরের মাথায় বাগানে কফি হতে শুরু করে। এ বছর কফি গাছে প্রচুর পরিমাণে কফি ধরেছে। কয়েকদিন আগে প্রায় ৫০ কেজি কফি উত্তোলন করি।
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা সদরের মুন্সিপাড়া গ্রামের জেলায় প্রথম কফিচাষি আবদুল কুদ্দুস বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে নার্সারি ব্যবসা করি। ২০০৭ সালের দিকে একটি পত্রিকায় দেখি কক্সবাজারে কফি চাষের খবর। এরপর চারা সংগ্রহের চেষ্টা চালাই। জেলা নার্সারি সমিতির সহসভাপতি হিসেবে ২০০৮ সালে বঙ্গভবনে আমার ডাক পড়ে। সেখানে গিয়ে একটি বই পাই। ওই বইতে ৬৪ জেলার নার্সারি মালিকদের মোবাইল নম্বর পাই। সেখান থেকে নম্বর সংগ্রহ করে কক্সবাজার থেকে ২০০৯ সালে ১৫০টি কফির চারা সংগ্রহ করি। তখন প্রতিটি চারার মূল্য ছিল ২০ টাকা। ওই চারার ৪ শতাংশ জমিতে লাগাই।
তিনি বলেন, তিন বছরের মাথায় ফল আসতে শুরু করে। কিন্তু ওই ফল দিয়ে কী করব, এ নিয়ে চিন্তায় পড়ি। এরপর বাড়িতে কফি ফল গুঁড়া করি। কিন্তু কফির স্বাদ আসে না। অনেক ভেবেচিন্তে একদিন কড়াইতে ভেজে গুঁড়া করে দেখলাম, কফির স্বাদ ও সুগন্ধ দুটোই এসেছে। এরপর স্বল্প পরিসরে এলাকায় বিক্রি করতে শুরু করি। শেষে আমি কফি উৎপাদনে সফল হই। কফি বাগান বাদ দিয়ে বর্তমানে কফির চারা বিক্রিতে বেশি নজর দিয়েছি। আমার বাগানের চারা দেশের ৬৪ জেলায় যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে এক ফুট সমান কফির চারা একশ টাকা হারে বিক্রি করছি। সে অনুযায়ী ৫ ফুট কফি চারার দাম পাঁচশ এবং ১০ ফুট হলে এক হাজার টাকায় বিক্রি করছি। বর্তমানে চারা বিক্রি করে বেশি লাভবান হচ্ছি।
জেলায় কফি চাষীদের সন্ধানে বের হয়ে আসে একজন নারী উদ্যোক্তা। জেলার জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের সুনগর গ্রামের মোছাম্মদ খাদিজা আক্তার ২০১৯ সালে ৪০ শতাংশ জমিতে কফির বাগান করেছেন। ওই বাগানে এখন ফল আসতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমার বড় ছেলে নর্দান ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় ইউটিউবে দেখে আমাকে কফি চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে। এখন সে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগে চাকরি করছে। এ কারণে কফি বাজারজাতকরণে অসুবিধা হবে না বলে সে জানিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কফি অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে দাম বেশি। ফলন দেখে বোঝা যায়, এটি অনেক লাভজনক হবে। তিনি বলেন, আমি আগামী বছরে আরও পাঁচ’শ চারা লাগাব। এর আগে তিনি প্রতিটি চারা ২০০ টাকা হিসেবে ৮০০ চারা সংগ্রহ করেছিলেন। যার মধ্যে ৫৮৬টি গাছ টিকে আছে। এগুলোর মধ্যে ২৪৬টি গাছে ফল এসেছে। ফলনও ভালোই হয়েছে। কৃষি বিভাগের লোকজন প্রতিনিয়ত এসে পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে ওই ফল সংগ্রহ কীভাবে হবে, সেটি জানার চেষ্টা করছি।
এলাকার অন্যান্য কফিচাষিরা বলছেন, সাধারণত পতিত জমিতে কফি চাষ বাড়ানো গেলে অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে লাভ বেশি। এদিকে কৃষি বিভাগের অভিমত, পানি নিষ্কাশনযুক্ত যেকোন উঁচু জমিতে কফি চাষ করা সম্ভব। দেশে বর্তমানে রোবাস্টা ও অ্যারাবিকা, দুই জাতের কফি চাষ হচ্ছে। তবে এ জেলায় রোবাস্টা জাতের কফির ফলন বেশি। তাই বাণিজ্যিকভাবে ওই জাত আবাদের পরিকল্পনা কৃষি বিভাগের। এ ছাড়া কফির ফুল থেকে উন্নত মানের মধু আহরণ করা সম্ভব এবং এই জমিতে মিশ্র ফসল আবাদ করা সম্ভব।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, কফি সাধারণত পাহাড়ি ফসল। উঁচু এবং যেখানে পানি জমে না থাকে, এমন সমতল জমিতে কফি চাষ করা যাবে। নীলফামারীর মাটি বেলে-দোঁআশ হওয়ায় এই মাটি কফি চাষের উপযোগী। নীলফামারীতে তিনজন কৃষক ইতিমধ্যে ৫২ শতাংশ জমিতে অ্যারাবিয়ান জাতের কফি চাষ করেছেন। তাঁদের গাছে ফলও ভালো এসেছে।
তিনি আরো বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে এই জেলায় আগামী এক মাসের মধ্যে আমরা এক’শ বিঘা জমিতে রোবাস্টা জাতের কফি চাষের পরিকল্পনা করেছি। এর ফলন বেশি পাওয়া যায়। আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ তাঁদের বিনা মূল্যে চারা সরবরাহ করবে।
- ফুলবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের শরবত বিতরণ
- তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন
- সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
- হাকিমপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই
- হাতীবান্ধায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নতুন কমিটি ঘোষণা
- গঙ্গাচড়ায় মাদ্রাসার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করলেন এমপি
- বিশাল কারখানায় নেই ফ্যান-এসি
- হেলিকপ্টারে করে বউ আনলেন পোশাকশ্রমিক
- গোবিন্দগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত, আটক ২
- চিলমারীতে প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ
- পীরগঞ্জে মাদকসহ গ্রেফতার ২
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক : শসার মাস্ক
- মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে
- বাংলাদেশ-গাম্বিয়া জয়েন্ট বিজনেস টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব
- ডর্টমুন্ডের সঙ্গে এক যুগের সম্পর্ক ছিন্ন করছেন এই ফুটবলার
- ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুরস্কার পেলেন ‘অভাগী’ মিথিলা
- হজের ক্ষেত্রে শয়তান যেসব ওয়াসওয়াসা দেয়
- মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো কুয়েত
- যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণের আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- সাত জেলায় দুপুরের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- ‘নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে’
- বাংলাদেশ-ভারত আজ একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে: সেলিম মাহমুদ
- ওরাল ক্যান্সার সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন হতে হব- প্রতিমন্ত্রী রিমি
- তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মৃত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
- জানা গেল এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ
- সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন: প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান
- তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মৃত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- চিলমারীতে বৃষ্টির জন্য ৩য় দিন ইসতিসকার নামাজ আদায়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- হিলিতে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ রক্তিম
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- ঢাকায় ইসরায়েলের বিমান
- বদরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা