• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

বদরগঞ্জে শিক্ষক-শিক্ষিকার ‘অন্তরঙ্গ’ ছবি ভাইরাল

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে লোহানীপাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার ও সহকারী শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি। ওই দুই ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানের দুই প্রধানের এমন ঘটনায় সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। এদিকে সুপার আজিজার রহমান ও সহকারী শিক্ষিকার ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের বদরগঞ্জে।

মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই মাদরাসার সহকারী সুপার কাজী নজরুল ইসলাম। এদিকে ছবি ফাঁসের পর থেকে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকা দুজনেই গা ঢাকা দিয়েছেন। দুদিন ধরে প্রতিষ্ঠানেও আসছেন না তারা।

জানা গেছে, মাদরাসা সুপার আজিজার রহমানের বাড়ি উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামে। আর সহকারী শিক্ষিকার বাড়ি বগুড়া জেলায়। তিন বছর আগে এনটিআরসির আওতায় আইসিটির সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ওই মাদরাসায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে উপজেলা পরিষদের পাশে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সেখানে মাদরাসা সুপার আজিজার রহমান প্রায়ই যাওয়া আসা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।  

স্থানীয় আব্দুস সালাম বলেন, মাদরাসার সুপার ও শিক্ষিকার এমন অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েছি। যদি তারা এমন অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকেন তাহলে মাদরাসায় সন্তানদের নিরাপত্তা আমরা কার কাছে পাবো? এখন শিক্ষক-শিক্ষিকারা যদি এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটায় এর প্রভাব তো শিক্ষার্থীদের মধ্যেও পড়তে পারে।

ওই মাদরাসার সহকারী সুপার কাজী নুরুল ইসলাম বলেন, আমি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করি না। ওইসব বিষয় বুঝি না। তারপরও আমাকে একজন ওই ছবিগুলো দেখানোর পর আমি সুপারকে বিষয়টি জানিয়েছি কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেননি। উল্টো তার দাবি কিছু মানুষ নাকি ষড়যন্ত্র করে এমন ছবি ছড়িয়েছে। তবে ওই ঘটনার পর থেকে সুপার এবং সহকারী শিক্ষিকা মাদরাসায় আসছেন না।

মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সামছুল হক বলেন, পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে সুপার তিনদিনের ছুটি নিয়েছেন। আমি শুনেছি সুপার ও সহকারী শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হয়েছে। আমি তাদের ওসব ছবি দেখিনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, ওই সুপার ও শিক্ষিকার ছবি ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি মিডিয়া থেকে জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here