• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

রংপুরে ধর্ষণ ও পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ মে ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের বদরগঞ্জে শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় একজনকে ৮ বছরের আটকাদেশ দেওয়া হয়।

সোমবার (৮ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন,  কিশোরগঞ্জের ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী ইয়াছমিন, রংপুর গঙ্গাচড়া উপজেলার লালচাঁদপুর গ্রামের জব্বার শেখের ছেলে আব্দুল ওহিদ ও বদরগঞ্জ উপজেলার চান্দেরডাঙ্গা গ্রামের এন্তাজুল হকের মেয়ে তারামনি।

এ ঘটনায় সম্পৃক্ততা না থাকায় অপর আসামি মানিক মিয়াকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ইয়াছমিন, তারামনি ও মানিক মিয়া উপস্থিত থাকলেও ওহিদ পলাতক।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর সকালে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়। পরে স্কুল ছুটির পর বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরমধ্যে স্থানীয় ভ্যানচালক আল আমিনের মাধ্যমে জানতে পারেন প্রতিবেশী এন্তাজুলের মেয়ে তারামনির সঙ্গে তার মেয়ে বদরগঞ্জ উপজেলার আউলিয়াগঞ্জ গেছে। বিষয়টি জানালে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে তাকে উদ্ধার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন বদরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কমল মোহন চাকি ২০১৬ সালের ১০ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ১৩ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সোমবার বিচারক আসামি ইয়াসমিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, ধর্ষণের ঘটনায় আব্দুল ওহিদকে দুটি ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং তারা মনি শিশু হওয়ায় তাকে ৮ বছরের আটকাদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, ওই ছাত্রীর বান্ধবী তারামনি ফুঁসলিয়ে তাকে ওহিদের কাছে তুলে দেয়। ওহিদ ওই ছাত্রীকে ঢাকায় নিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি ইয়াসমিনের কাছে বিক্রি করে দেন। ইয়াসমিন ওই ছাত্রীকে কিশোরগঞ্জ ভৈরব এলাকার একটি পতিতালয়ে থাকতে বাধ্য করেন। এর কিছুদিন পর ইয়াসমিন ওই ছাত্রীকে অন্য জায়গায় বিক্রির চেষ্টা করলে কৌশলে ওই ছাত্রী পালিয়ে যায়। বাসযাত্রী এক নারীকে ওই ছাত্রী পুরো বিষয়টি খুলে বলে। পরে ওই নারী পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন আরও বলেন, এ মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজন শিশু হওয়ায় তাকে ৮ বছরের আটকাদেশ দিয়ে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই শিশু প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here