• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

গভীর নলকূপের পাইপ ভাঙচুরে অর্ধশতাধিক চাষির হতাশা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের পীরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গভীর নলকূপের বারিক (গ্যাস) পাইপ উপড়ে ভাঙচুর করায় প্রায় ৩০ একর ইরি-বোরো ক্ষেত বিনষ্টের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের ছিলিমপুর মৌজার অর্ধশতাধিক চাষির মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, ছিলিমপুর গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে ওয়াহেদ আলী গত ২০০২ সালে বিআরডিসি কর্তৃক সমবায়ের মাধ্যমে গ্রাম সংলগ্ন ওই গভীর নলকূপটি গ্রহণপূর্বক স্বার্থকতার সঙ্গে চালিয়ে আসছিলেন। বিদ্যুৎচালিত ওই গভীর নলকূপের আওতায় প্রায় দেড় শতাধিক চাষিদের ৫০ একর জমি চাষাবাদ হয়। বছর কয়েক আগে একই গ্রামের মৃত ফজলার রহমানের ছেলে আব্দুর ছালাম ঈর্ষান্নিত হয়ে উক্ত গভীর নলকূপের প্রায় ২০০ গজ এলাকায় একটি বিদ্যুৎচালিত অগভীর নলকূপ স্থাপনের চেষ্টা করে। এতে গভীর নলকূপের ম্যানেজার ওয়াহেদ আলী বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আব্দুর ছালামসহ তার সহোদর শফিকুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা ও মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মঞ্জুর হোসেন। তারা ম্যানেজার ওয়াহেদ আলী ও তার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে ভয়-ভীতি, মিথ্যা মামলাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে আব্দুর ছালাম গ্যংরা ভুয়া কাগজপত্র ও বিআরডিসি’র নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে বিদ্যুতের একই খুঁটির একই ট্রান্সফমা থেকে সংযোগ নিয়ে অগভীর নলকূপটি চালু করে নিজস্ব জমি চাষাবাদ করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেই চলতি ইরি-বোরো’র ভরা মৌসুমে আব্দুস ছালাম ও তার লোকজন রাতের অন্ধকারে গভীর নলকূপটির কয়েকটি বারিক (গ্যাস) পাইপ ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, ওই পাইপের মধ্যে ময়লা-আবর্জনা প্রবেশ করিয়ে পানি যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় পাঁচ দিন ধরে পানি সেচ দেয়া বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও একাধিকবার শাবল দিয়ে মাটির নিচে থাকা প্লাস্টিকের পাইপের বিভিন্ন স্থানে ফুটো করে সেচ কাজ ব্যাহত করেছে। অনেক ইরি-বোরো চাষি এখন পর্যন্ত পানির অভাবে জমিতে হাল লাগাতে পারেনি। কেউ কেউ আবাদ করলেও পানির অভাবে আগাছানাশক পর্যন্ত প্রয়োগ করতে পারছেন না।

ভাবনচূড়া গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক মোক্তার হোসেন বলেন, ‘ভাইরে! ৬ বিঘা জমি আবাদ করেছি, পানি না থাকায় জমিগুলো লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। ধানের চারা লাগানোর সময় একবার পানি পেয়েছি কিন্তু আর পানি পাইনি।’

ছিলিমপুর গ্রামের কৃষক মনুহার হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমার মাত্র তিন বিঘা জমি, তার মধ্যে এক বিঘা জমিতে পানিই পাইনি, আবাদ করব কবে?’

পশ্চিমপাড়া শাল্টি গ্রামের ফজলুল করিম বলেন, ‘প্রতিহিংসার কারণে বুঝি এবার ইরি-বোরো আবাদ ঘরেই তুলতে পারব না।’

Place your advertisement here
Place your advertisement here