• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

রংপুরে মৃদুলের বাড়িটি এখন ‘মাছের বাড়ি’

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

পরিত্যক্ত জায়গা এখন অর্থ উপার্জন, বিনোদন আর উদ্যোক্তা তৈরির আতুরঘর। এক সময়ের সাদামাটা বাড়িটি মাটি থেকে ছাদ পর্যন্ত রঙিন হয়ে উঠেছে। রং বদলে নয় বরং ধারণায় পাল্টে দিয়েছে সব। আর এখন তাই চৌবাচ্চায় রঙিন মাছ, বাড়ি আর ছাদজুড়ে সবুজের সমারোহ। রংপুর নগরীর মৃদুলের বাড়িটি এখন ‘মাছের বাড়ি’ হিসেবে পরিচিত।

পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে লাল, নীল, কমলা হলুদ হরেক রকমের মাছ। এই ডুবছে, এই ভাসছে। কোনো পুকুর বা জলাশয়ে নয়। রংপুর নগরীর মেডিকেল পূর্বগেটে রঙিন মাছের বাড়ি। বাড়ির বাগানে চৌবাচ্চায় এমন মাছের খেলা আর প্রকৃতির শীতল স্পর্শ যে কোনো মানুষের মন জুড়িয়ে দেয়।

জানা গেছে, অ্যালবেনিয়া শার্ক, হোয়াইট শার্ক, ব্লু গোড়ামী, গোল্ডেন গোড়ামী, চিকলেট বাটার। শৌখিন মাছ চাষিরা অ্যাকুরিয়ামের জন্য এক সময় পুরোপুরি বিদেশ নির্ভর ছিল শখের মাছের জন্য। নিজে চাষ করার পাশাপাশি রংপুরসহ সারা দেশে হাজারো উদ্যোক্তার মাধ্যমে এ ধরনের অন্তত চল্লিশ ভাগ মাছের চাহিদা পূরণ হচ্ছে, এমনটাই দাবি উদ্যোক্তা মৃদুল রহমানের।

এ বিষয়ে উদ্যোক্তা মৃদুল রহমান বলেন, পাঁচ উদ্যোক্তাকে দিয়ে আমি অলরেডি দুই বছরের ভেতরে ৪০% ইমপোর্ট রাশ করতে পেরেছি। দুই বছরের ভেতরে ১০০% ইমপোর্ট বন্ধ করে ফেলবো।

বাড়ির ছাদে উঠলে চোখ যেন ছানাবড়া। ড্রাগনতো আছেই একশো পনেরো জাতের বিদেশি আম, ডালিম, পেয়ারা, সবজি-ফুল কি নেই। পরিবারের চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশীদের ঘরেও যাচ্ছে মৃদুল-তাসলীমা দম্পতির ফল আর সবজি।

বাড়ির গৃহিনী তাসলীমা বেগম বলেন, ইচ্ছে করলেই যে অনেক কিছু করা সম্ভব এইটা স্বামী দেশকে দেখিয়ে দিয়েছেন।

বেশ কয়েকটি সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১২ সালে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৬২ শতক জমিতে গড়ে তোলেন বাড়িটি। মাত্র ত্রিশটি মাছ দিয়ে শুরু হলেও তার ঝুলিতে এখন অন্তত ৭০ হাজার রঙিন মাছ। দশ টাকা থেকে শুরু করে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় একেকটি মাছ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here