• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

Find us in facebook
সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

বিচ্ছেদের কষ্ট ভুলতে...

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

‘প্রেমের অনির্বাণ শিখা চিরদিন জ্বলে, স্বর্গ হতে আসে প্রেম স্বর্গে যায় চলে’। আর তাই তো পৃথিবীতে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক সবচেয়ে পবিত্র এবং মধুর।

যখন একজন ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ায়, তখন তার কাছে এই সম্পর্ক থেকে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু থাকে না। প্রিয় মানুষের পছন্দ মতো নিজেকে পরিবর্তন করতেও আমরা দ্বিধা বোধ করি না।

তবে এই সম্পর্কে বিচ্ছেদ হলে সেই সময় যেন সবচেয়ে অন্ধকারময় হয়। সম্পর্কে ইতি টানার পর প্রাক্তনকে ভোলা সহজ নয়। আর সেই সম্পর্ক যদি অনেক দিনের হয়, তখন সমস্যা আরো বাড়ে। অন্য কোনো কাজে মন বসে না।

এতে সম্পর্কের পাশাপশি পারিবার, কর্মক্ষেত্রেও সেই বিচ্ছেদের প্রভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে কারো কারো। সম্পর্ক মানেই আগামীর প্রত্যাশা, কাজেই আশাভঙ্গ কখনওই সুখের হয় না।

নিজেকে ভালো রাখতে এবং সম্পর্ক বিচ্ছেদের কষ্ট ভুলতে মনোযোগ দিতে পারেন যেসব কাজে। যেমন-

পছন্দের কাজে মন দিন: জীবনে যে পরিস্থিতিই আসুক না কেন, মনকে শান্ত রাখতে হবে। তাই যে কাজ করতে ভালো লাগে, তাতে আরো বেশি করে সময় দিন। শরীরচর্চা করলে শুধু শরীর নয়, মনও ভালো থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম বা প্রাণায়াম ‘হ্যাপি হরমোন’ ক্ষরণ বাড়িয়ে ক্ষতিকর কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়াও জুম্বা, যেকোনো ধরনের খেলাধূলা, ছবি আঁকা, বই পড়া, লেখালেখি যা করতে ভালো লগে, তা-ই করুন।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান: মানসিক অবসাদ কাটাতে অনেকেরই মুখরোচক প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে ফেলার ঝোঁক বাড়ে। এমনকি, খাওয়ার সময়ে সম্পর্কেও কোনও হুঁশ থাকে না। যন্ত্রণা ভুলতে অনেকেই বেশি খেয়ে ফেলেন। অনিয়মিত এই জীবনযাপন শরীরের আরো ক্ষতি ডেকে আনে। বিচ্ছেদের কষ্ট সাময়িক। তা কাটিয়ে উঠে নিজেকে ভালো রাখতে চেষ্টা করুন।

পর্যাপ্ত ঘুমান: এমন পরিস্থিতিতে মন অশান্ত থাকাটাই স্বাভাবিক। দীর্ঘদিনের অভ্যাস ছেড়ে অনেকেই আবার একাকিত্বে ভোগেন। উদ্বেগের কারণে রাতে ঘুমও আসতে চায় না। কিন্তু অপর্যাপ্ত ঘুম শারীরিক জটিলতা আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। যোগাসন করতে শুরু করতে পারেন। রাতে ঘুমোনোর সময়ে পছন্দের গান শুনুন।

বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান: কঠিন সময়ে কাছের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান। অবশ্য কাছের মানুষ মানেই তা পরিবারের কাউকে হতে হবে, এমন নয়। বিশ্বস্ত এমন এক জন মানুষ জীবনে থাকা প্রয়োজন, যার কাছে মনের সব কথা উজাড় করে বলা যায়। খুব ভাল হয়, যদি বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। মন ও মেজাজ দুই-ই চাঙা হবে।

মনোবিদের সাহায্য নিন: এমন একটি পরিস্থিতি একা একা সবার পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হয় না। বিচ্ছেদের পর মানসিক পরিবর্তন হয় সবচেয়ে বেশি। শরীর সারাতে যেমন চিকিৎসকের সাহায্য লাগে, তেমন মনের জটিল সমস্যা বা ক্ষতগুলো সারাতেও কিন্তু দক্ষ একজন মানুষের প্রয়োজন হয়। আর তাই এই রকম সময়ে মনোবিদের সাহায্য নিয়ে, বিশেষ কিছু থেরাপির মধ্যে থাকাই ভাল। কাউকে মনের কথা উজাড় করে দিলে ভালই লাগবে।

শেষ কথা: উপরোক্ত বিষয়গুলোর চর্চায় আশা করি বিচ্ছেদের সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা সহজ হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here