উন্নতমানের সেবা পাচ্ছে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালের রোগীরা
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২০
Find us in facebook
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল হাসপাতালের সুনাম ছড়িয়ে পরেছে অল্পদিনের ব্যবধানে। নামি দামি হাসপাতাল ছেড়ে রোগীরা এথানে আসছেন চিকিৎসা নিতে। তেমনি একজন রোগী গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের বাসিন্দা আমেনা বেগম (৫৭) দীর্ঘদিন থেকে কিডনি রোগে ভুগছেন। তিনি চিকিৎসা নিতে গাজীপুরের কাশিমপুর তেতুইবাড়ি এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল হাসপাতালে এসেছেন।
আমেনা বেগমের সঙ্গে আসা তার ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারহান শাহরিয়ার বলেন, আগে আমাদের পরিবার বা আত্মীয়দের কেউ অসুস্থ হলে ঢাকার বড় বড় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে যেতাম। এখন বাড়ির কাছে এ হাসপাতালে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়। আমাদের আত্মীয় স্বজন, পরিচিত সবাই এখন এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
আমেনা বেগম বলেন, কিডনিতে সমস্যা দেখা দেওয়ার পর শুরুতে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে শুরু করি। পরে অনেকের কাছে এই হাসপাতালের সুনাম শুনি। এরপর থেকে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছি। এখানকার ডাক্তাররা খুব ভালো, চিকিৎসাও খুব ভালো। আল্লাহর রহমতে আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি।
গাজীপুর সদরের বাসিন্দা গার্মেন্টস কর্মী আফরোজা মিম বলেন, এই এলাকায় উন্নত চিকিৎসা সেবার অভাব ছিল। এখন আমাদের মতো স্বল্প আয়ের শ্রমিকরা এ হাসপাতলে চিকিৎসা নিতে পারি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে মালয়েশিয়ার বিখ্যাত সেবা সংস্থা কামপুলান পেরুতান জহর (কেপিজে)।
অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণের সেবার পাশাপাশি অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সম্বলিত এ হাসপাতালে উন্নত দেশের মতো বিভিন্ন জটিল রোগের বিশ্বমানের চিকিৎসা হয়। ইতিপূর্বে খাদ্যনালী প্রতিস্থাপনসহ বিভিন্ন রোগে জটিল অপারেশনও এখানে সফলভাবে হয়েছে।
এখানে বহির্বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ বিভাগে সব ধরনের রোগের আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্য চিকিৎসা ও অপারেশন করা হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিতে আছে বিশেষ ব্যবস্থা।
বছরখানেক আগে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার এলাকার বাসিন্দা আশা আক্তার আঁখি (১৯) নামে এক তরুণী জেদের বশে হারপিক খেয়ে ফেলেন। এতে তার খাদ্যনালী পুড়ে যায়। বিভিন্ন হাসপাতালে ছোটাছুটির পর শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা হয় আঁখির।
আঁখির খাদ্যনালী কেটে তার নিজের কোলন থেকে খাদ্যনালী প্রতিস্থাপন করা হয়। চিকিৎসকরা তার বৃহদাস্ত্রের অংশ বিশেষ দিয়ে অন্ননালী প্রতিস্থাপন করেন। পাকস্থলীর বন্ধ হয়ে যাওয়া অংশ বাইপাস করা হয় ক্ষুদ্রান্ত্রের অংশ দিয়ে। তার নাড়িতে ৬টি জোড়া দেয়া হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে আঁখি এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার জানান, অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল আঁখির চিকিৎসা ব্যয় বহন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আশা আক্তার আঁখি বলেন, সবাই ভেবেছিল আমি আর বাঁচবো না। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং দক্ষ চিকিৎসকদের কারণে হয়তো নতুন জীবন পেয়েছি। তিনি বলেন, ভাগ্য ভালো সে সময় কাছাকাছি উন্নত হাসপাতাল পাওয়া গেছে। নইলে ঢাকা নিতে নিতেই হয়তো অন্য কিছু ঘটতে পারবো।
তার চিকিৎসা ব্যয় বহন ও গাজীপুরে এ রকম একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান আঁখি ।আশা আক্তার আঁখির সফল এই অপারেশন করেন ডা. রাজীব হাসান ও ডা. কাওছার আলম।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালের চিকিৎসক সার্জন রাজীব হাসান জানান, এ হাসপাতালে খাদ্যনালী, পাকস্থলী, কোলন, লিভার ও ক্যান্সারসহ সব ধরনের রোগের অপারেশন ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এ হাসপাতালে সব ধরনের রোগের উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার ঢাকার নামী-দামী হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। এখানকার মানুষও মনে হয় তাই চিন্তা করে। কারণ বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা নিতে তারা এ হাসপাতালে আসেন। আগে যাদের অনেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতেন।
হাসপাতালটির অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার (বিসনেস ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস ) আবুল হাসান বলেন, এখানে অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আশপাশের এলাকাগুলোতে যারা আছেন তারা এখন আর ঢাকামুখী হচ্ছেন না। তারা এখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আগে এ সুযোগটা ছিল না।
দিন দিন দেশের প্রায় সব জেলা থেকে আগের তুলনায় অধিক রোগীদের সমাগম ঘটছে বলেও জানান তিনি। আবুল হাসান বলেন, বাংলাদেশের প্রথম আইএমএস সার্টিফাইড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ।
তিনি বলেন, প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের রয়েছে আলাদা আলাদা কোয়ালিটি অবজেক্টিভ, যা রোগীদের সন্তোষজনক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর।
দরিদ্র রোগীদের জন্য ফান্ড রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দরিদ্র রোগীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফান্ড তৈরি করে দিয়েছেন। এই ফান্ডের মাধ্যমে অতি দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। হাসপাতালে ইনডোর সেবার বাইরে বহির্বিভাগে অভিজ্ঞ ডাক্তাররা চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং নার্সিং ইনিস্টিটিউটে ইন্টারনাল মেডিসিন, নিউরোলজি, স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি সেবা, জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি, হৃদরোগ, অর্থোপেডিক্স, গ্যাসট্রোলজি, শিশু রোগ চিকিৎসা, চক্ষু রোগ, নাক-কান-গলা, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, ইউরোলজি, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি, ডায়াবেটিস, মনোরোগ, চর্ম-এলার্জি ও যৌন রোগসহ সব ধরনের রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান আবুল হাসান।
তিনি আরও জানান, এ হাসপাতালে দেওয়া উল্লেখযোগ্য অন্যান্য সেবার মধ্যে রয়েছে- ২৪ ঘণ্টা অ্যাকসিডেন্ট এবং জরুরি সেবা ইউনিট, এক্স-রে, আল্ট্রাসোনোগ্রাম, এমআরআই, সিটি স্ক্যান, ৪-ডি আলট্রাসাউন্ড, হাড়ের মিনারেল ঘনত্ব (বিএমডি) টেস্ট, আইসিউ, সিসিইউ, অত্যাধুনিক অপারেশ থিয়েটার, ক্যাথ ল্যাব, এমআর এনজিওগ্রাম, সিটি এনজিওগ্রাম, সিটি করোনারি এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি, কিডনি ডায়ালাইসিস, ফিজিওথেরাপি সার্ভিস, স্পেশাল বেবি কেয়ার ইউনিট, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সব ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পেইন ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, পুষ্টি পরামর্শ, ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, টিকাদান, ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ইত্যাদি।
২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতোসিরি মোহাম্মদ নজিব বিন তুন আবদুল রাজাক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোটবোন শেখ রেহানা যৌথভাবে এই হাসপাতালের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এর আগে ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি এই হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এটি একটি পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রতিষ্ঠান। পরে ২০১৫ সালে এখানে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
- পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে মরে যাচ্ছে চা বাগান
- রাজিবপুরে ইসতিসকা নামাজ আদায় ও দোয়া প্রার্থনা
- রংপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন
- কুড়িগ্রামে আইনগত সহায়তা দিবস অনুষ্ঠিত
- সৈয়দপুরে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা শীর্ষক সম্মেলন
- হাতীবান্ধায় গাছ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
- পীরগঞ্জে আইনগত সহায়তা দিবস অনুষ্ঠিত
- পলাশবাড়ীতে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস অনুষ্ঠিত
- কুড়িগ্রাম মাদকের বিরুদ্ধে শিশু-কিশোরের স্মারকলিপি প্রদান
- সাঘাটার প্রবীন সাংবাদিক আজহারুল ইসলাম আর নেই
- রংপুরে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির সদস্য সচিব কারাগারে
- রংপুরে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহর উদ্বোধন
- গজঘণ্টা ইউপি উপনির্বাচনে ইউসুফ আলী সদস্য নির্বাচিত
- দিনাজপুরে অনাবৃষ্টি আর দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল
- কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের ৬ নেতা কারাগারে
- আ.লীগের উপদেষ্টা সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়া মারা গেছেন
- এমএলএসে মেসির নতুন ইতিহাস
- রাতারাতি ভাইরাল পিয়া জান্নাতুল, কী বলছেন তিনি
- টানা ৪ মাসে হাতে লিখলেন কোরআন
- তীব্র দাবদাহে নজর কেড়েছে ‘এসি হেলমেট’
- থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
- তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- অদক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠানো হবে না: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- হজ ফ্লাইট শুরু ৯ মে: ধর্মমন্ত্রী
- ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান
- একটা জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি আহসান হাবিব
- তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে: স্পিকার
- তীব্র দাবদাহে বেড়েছে লবণ উৎপাদন
- শহিদ শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ
- তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- বুয়েটে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম তদন্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- চিলমারীতে বৃষ্টির জন্য ৩য় দিন ইসতিসকার নামাজ আদায়
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- শরীরে মেদ জমেছে নাকি পানি, বুঝবেন যেসব লক্ষণে
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ইউটিউবে আসছে এআই নির্ভর ৩ ফিচার