• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

সিটি নির্বাচন: প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয় সাড়ে ৩১ লাখ টাকা নির্ধারণ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ মে ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ব্যয় এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ও নির্বাচনী ব্যয় হবে ৩০ লাখ টাকা। আর কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটার সংখ্যার অনুপাতে সর্বোচ্চ ব্যয় ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা করতে পারবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গত শনিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রার্থীদের অবহিত করতে ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা: নির্বাচন বিধিমালায় বলা হয়েছে, মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ বাবদ, অনধিক পাঁচ লাখ ভোটার সংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা, পাঁচ লাখ এক থেকে ১০ লাখ ভোটার সংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা, ১০ লাখ এক থেকে ২০ লাখ ভোটার সংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ২০ লাখ এক ও তদূর্ধ্ব ভোটার সংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

এছাড়া নির্বাচনী ব্যয় বাবদ অনধিক পাঁচ লাখ ভোটার সংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা, পাঁচ লাখ এক থেকে ১০ লাখ ভোটার সংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা, ১০ লাখ এক থেকে ২০ লাখ ভোটার সংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা ও ২০ লাখ এক থেকে তদূর্ধ্ব ভোটার সংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
গাসিকে ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। অর্থাৎ মেয়র পদের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত খাতে ব্যয় করতে পারবেন এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ভোটের জন্য ৩০ লাখ টাকা। মোট সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা হচ্ছে ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

বিধিমালায় কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর ব্যয়: কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ বাবদ অনধিক ১৫ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার এক থেকে ৩০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা, ৩০ হাজার এক থেকে ৫০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার এবং ৫০ হাজার এক ও তার বেশি ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় বাবদ অনধিক ১৫ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা, ১৫ হাজার এক থেকে ৩০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা, ৩০ হাজার এক হতে ৫০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চার লাখ টাকা এবং ৫০ হাজার এক থেকে তদূর্ধ্ব ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছয় লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

এ বিধান অনুযায়ী, গাসিক ভোটের কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যক্তিগত ও ভোটের ব্যয় বাবদ ওয়ার্ডভেদে ভোটার অনুপাতে সর্বনিম্ন এক লাখ ১০ হাজার টাকা থেকে ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

আইন অনুযায়ী, ভোটের প্রচারপত্র বা প্রকাশনার মাধ্যমে অথবা অন্য কোনোভাবে ভোটারদের কাছে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিমত, লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য উপস্থাপনের জন্য ব্যয়িত অর্থসহ তার নির্বাচন পরিচালনার জন্য দান, ঋণ, অগ্রিম জমা বা অন্য কোনোভাবে পরিশোধিত অর্থ ‘নির্বাচনী ব্যয়’ বলে গণ্য হবে।

আত্মীয়স্বজনের (স্বামী বা স্ত্রী, মা-বাবা, ছেলেমেয়ে ভাইবোন) কাছ থেকে ধার, কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার স্বেচ্ছা প্রদত্ত দান গ্রহণ করাকে ব্যয়ের উৎস দেখানো যাবে। এক্ষেত্রে কোনো উৎস থেকে কোনো অর্থপ্রাপ্ত হলে অর্থ প্রাপ্তির পর তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে।

নির্বাচনের পর ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সব প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীকে ব্যয়ের রিটার্ন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করতে হবে। আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here