• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ক্যামেরা বন্ধকের জেরে বন্ধুকে খুন, লাশ মেলে সেফটিক ট্যাংকে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

গাইবান্ধার সাঘাটায় অনলাইন জুয়া খেলতে গিয়ে ক্যামেরা বন্ধকের জেরে সম্রাট (১৭) নামের এক বন্ধুকে খুন করেছে আরেক বন্ধু। পরিকল্পিতভাবে ঘুমের ট্যাবলেট মিশ্রিত কোমলপানীয় পান করে অজ্ঞান হলে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে হত্যা করা হয় সম্রাটকে।

হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাঘাটা থানারওসি মমতাজুল হক। এর আগে উপজেলার পশ্চিতবাড়ি গ্রামের একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। গত ১৭ এপ্রিল অভিযুক্ত রিফাতের বাড়িতে ক্যামেরা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় কিশোর সম্রাট।

নিহত সম্রাট উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের আফজাল হোসেনের ছেলে। এছাড়া অভিযুক্ত রিফাত (১৭) সাঘাটা উপজেলার পশ্চিমবাটি গ্রামের মিলন হাজারীর ছেলে।

জানা গেছে, নিহত সম্রাট এবং অভিযুক্ত রিফাত একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা দুজনে একই বিদ্যালয়ের একই ক্লাসের শিক্ষার্থীও। সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলে টাকা খোয়ান (হারেন) সম্রাট। টাকা হেরে সম্রাট তার ক্যামেরা বন্ধু রিফাতের কাছে ১০ হাজার টাকায় বন্ধক রাখেন। তার কয়েকদিন পরে বন্ধু রিফাতের কাছে ক্যামেরা ফেরত নিতে যান সম্রাট। কিন্তু এ সময় সম্রাট জানতে পারেন রিফাত অনলাইন জুয়ায় টাকা হেরে বন্ধক নেয়া ক্যামেরা বগুড়ায় ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে বন্ধক নেয়া ক্যামেরা বিক্রি করা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।

এর জেরে গত ১৭ এপ্রিল পরিকল্পিতভাবে সম্রাটকে ক্যামেরা নিতে নিজ বাড়িতে ডাকে রিফাত। একইদিন বিকেলে সম্রাট বন্ধু রিফাতের বাড়িতে ক্যামেরা নিতে এসে এদিন থেকেই নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির করেও সন্তানকে না পেয়ে পরদিন (১৮ এপ্রিল) নিখোঁজ সন্তানের সন্ধান চেয়ে সাঘাটা  থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে সম্রাটের পরিবার। যেখানে (জিডি) তারা রিফাতের ডাকে সম্রাট বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি বলে উল্লেখ করেন। পরে ঐ জিডির ভিত্তিতে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে জিজ্ঞাসাবাদের সম্রাটকে আটক করে সাঘাটা পুলিশ।

আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বন্ধু সম্রাটকে খুন করে সেপটিক ট্যাংকে গুম করে রাখার কথা স্বীকার করে রিফাত। পরে তার দেওয়া তথ্যে, শুক্রবার রাত ১টার দিকে পশ্চিতবাড়ির গ্রামের একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।


গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযুক্ত রিফাত পরিকল্পিতভাবে তার বন্ধু সম্রাটকে কোমলপানীয়র সঙ্গে ৭-৮ টি ঘুমের ট্যাবলেট মিশ্রিত পানি পান করায়। যা খেয়ে খুব দ্রুত ঘুমিয়ে পরে সম্রাট। পড়ে ঘুমন্ত সম্রাটকে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে হত্যা করা হয়। যা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here