• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ঠাকুরগাঁওয়ে শসার কেজি ২ টাকা 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতি কেজি শসা ২ টাকা দরে বিক্রি করছেন কৃষকেরা। প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। লোকসান হওয়ায় শসা তুলে অনেকে খেতেই ফেলে দিচ্ছেন।

এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি মাসের শুরুর দিকে শসার বাজারদর বেশি ছিল। কিন্তু মাঝামাঝি সময়ে বাজারে শসার সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে গেছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে জেলার সদর উপজেলার কয়েকটি মাঠে গিয়ে জানা গেছে, খেত থেকে শসা তুলছেন কৃষকেরা। কেউ পাইকারি দরে প্রতি কেজি শসা ২ টাকা দামে বিক্রি করছেন। কেউ শসা তুলে খেতেই ফেলে দিচ্ছেন।

সদর উপজেলার পূর্ব বেগুনবাড়ী গ্রামের শসাচাষি নুর হোসেন বলেন, ‘এবার ৪০ শতাংশ জমিতে শসার আবাদ করেছি। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি হয়েছিলাম। ভাবলাম খরচ তুলে লাভ হবে। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে হতাশ হচ্ছি।’

বাজারে শসার দাম না পাওয়ায় পুরো খেত আরেক কৃষকের কাছে ২৭ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন নুর হোসেন। তিনি বলেন, ‘শসা লাগানো থেকে পরিচর্যায় খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। লোকসান হলো ২৩ হাজার টাকা।’

সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর এলাকার আরেক চাষি নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছি। হাটে নিয়ে গেলে বিক্রি হচ্ছে না। পরে ২ টাকা দরে এক পরিচিত পাইকারের কাছে কিছু বিক্রি করেছি। তাতে লোকসানের মধ্যে থাকতে হবে।’

খরচ তুলতে কয়েক মণ শসা গত শনিবার স্থানীয় হাটে নিয়ে যান সদর উপজেলার গড়েয়া এলাকার কৃষক সিদ্দিকুল। তিনি দুই টাকা দরেও শসা বিক্রি করতে পারেননি। এখন তিনি শসা তুলে ফেলে দিয়ে জমিতে অন্য শাকসবজি চাষ করবেন।

সদর উপজেলার সালন্দা এলাকার কৃষক নেন্দলা রায় ও মানিক চন্দ্র রায় বলেন, ‘শুরুর দিকে আশানুরূপ দাম পেলেও শসার বাজারমূল্যে দ্রুতই ধস নেমেছে। শুরুর দিকে ২ হাজার টাকা মণ থাকলেও এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকা মণ দরে শসা বিক্রি হচ্ছে।’

জেলা সদরের বড় খোঁচাবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ও জব্বার আলী জানান, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী তাঁরা শসা কিনছেন। সামান্য দামে শসা বিক্রি করতে হচ্ছে তাঁদের। এতে কৃষকদের লোকসান হলেও করার কিছুই নেই বলে জানান এই ব্যবসায়ীরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে চলতি বছর শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় হাট-বাজারে আমদানিও বেশি। তাই দাম দ্রুত কমে যাচ্ছে। এতে দাম কম হওয়ায় লাভ কম হচ্ছে কৃষকদের।’

Place your advertisement here
Place your advertisement here