গরম-ঠান্ডায় আরামদায়ক বাসস্থান
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৪
![Find us in facebook Find us in facebook](https://www.dainikrangpur.com/media/imgAll/2024April/a8ec28be868a44f7076cf2e725c5c51b-662f5501577d1-2404291620.jpg)
Find us in facebook
দেশে চলছে গ্রীষ্মকাল। মৌসুমের এই সময়ে তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষের জেরবার অবস্থা। একটা সময় দেশের প্রতিটি গ্রামে মাটির ঘর পাওয়া যেত। আধুনিকতার দাপটে সেসব ঘর বিলুপ্তির পথে। তবে এখনো টিকে থাকা মাটির এসব ঘর যেন তীব্র এই গরমে শান্তির বালাখানা। বিপরীতে তীব্র শীতেও মাটির ঘর আরামদায়ক বাসস্থান। রংপুরের বদরগঞ্জের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে মাটির ঘরের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের এই অনুভূতি জানা গেছে।
উপজেলার ছয়-সাতটি গ্রাম সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এলাকায় এখনও অনেক মাটির ঘর রয়েছে। একসময় এসব এলাকায় প্রায় প্রতিটি ঘর ছিল মাটির তৈরি। কিন্তু আধুনিকতার স্পর্শে কাঁচা থেকে পাকা বাড়ির দিকে ঝুঁকছে এলাকার মানুষ। মাটির ঘরের পরিবর্তে দালান-কোঠা বানাতে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন লোকজন।
মাটির বাড়ি তৈরির নির্মাণ উপকরণ সামগ্রী
মাটির বাড়ি তৈরির নির্মাণ উপকরণ বলতে প্রথমেই আসে মাটি, বাঁশ, খড়কুটো, গোলপাতা, হোগলার পাতা, কাঠ ইত্যাদি। উত্তরবঙ্গে মাটির গাঠনিক অবস্থান শক্তিশালী। গ্রামীণ বাংলার পরিপাটি চালাঘরের স্থাপনা সম্রাট অশোকের সময় থেকে, পাল, সুলতান, মোগল ও ব্রিটিশ রাজ-স্থাপত্যে অনুকরণীয় ছিল। প্রচণ্ড শক্তিশালী অনুকরণীয় মাধ্যম হয়ে উঠেছিল গ্রামীণ বাংলার ঘর ও অবকাঠামো। প্রাচীন, প্রাক-মুসলিম ও পরবর্তী সময়। উত্তরের এই জনপদে মাটির বসতবাড়িগুলো দোতলা, এমনকি তিন তলাও দেখা গেছে।
একসময় মাটির ঘর তৈরি করতেন বদরগঞ্জ উপজেলার সরকারপাড়া গ্রামের সাদেক আলী (৬০)। তিনি বলেন, ‘বাহে, খিয়ার মাটির কাদো পাও দিয়্যা দলাইমলাই কইরার নাগে। যত বেশি দলাইমলাই হয়, ঘর ততই মজবুত, শক্ত হয়। একনা মাটির ঘর বানাইতে দুই-তিন মাস নাগে। আগোত হামার এত্তি প্রত্যেক বাড়িত মাটির ঘর আছলো।’
আরেক মাটির ঘর তৈরির কারিগর মো. শওকত বলেন, তিনি মাটির কাজ করেছেন ২০ বছর। আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি তৈরি করেছেন। তাঁর এলাকায় ১০-১২ জন মিলে মাটির ঘর তৈরি করতেন। তাঁদের অনেকেই আর বেঁচে নেই।
রস্তমাবাদ গ্রামের শতবর্ষী আব্দুল ওহাব বলেন, ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির বাড়ি শত বছরেও কিছু হয় না। বর্তমান সময়ে ইটের দালানকোঠা আর বড় বড় অট্টালিকার কাছে হার মানছে মাটির বাড়িঘর।
খিয়ারপাড়া গ্রামের জাহানারা খাতুন (৬০) বলেন, ‘হামার বাড়ি করার বয়স ৩০ বছর হইল। স্বামীর তৈরি করা ঘরটিতেই বসবাস করছি। ঠান্ডর দিনোতও আরাম, গরম কালেও আরাম। বাড়িত সাগাই আসলে নয়া মাটি দিয়ে লেপে দেই, আবার চকচক করে ঘর। বিল্ডিং ঘরের থাকি মাটির ঘরত শান্তি বেশি।’
গ্রামাঞ্চলে মাটির ঘরের কদর আগের মতো নেই বলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মোনারুল ইসলাম মোনা। তিনি বলেন, তাঁদের পূর্বপুরুষেরাও এই মাটির তৈরি বাড়িতে জীবন কাটিয়ে গেছেন। বর্তমানে মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ও বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পাকা ঘর তৈরি করার প্রতিযোগিতা চলছে। কিন্তু মাটির ঘরেই আরাম বেশি।
এ বিষয়ে উন্নয়ন গবেষক উমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল। একটা সময় আমরা মাটির ঘরে বাস করতাম। এখন আমরা পাকা ঘর তৈরি করছি। অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে মানুষ যখন তার শিল্প, সংস্কৃতি, চলাফেরা, বসবাস নানাবিধ জায়গায় পরিবর্তন আনে, এটা আমাদের সভ্যতা পরিবর্তন প্রক্রিয়া। আজকের পরিবর্তন আগামী দিনেও পরিবর্তন হবে বিষয়টা স্বাভাবিক।’
(আজকের পত্রিকা)
- যুক্তরাষ্ট্রে শাফিন আহমেদের জানাজা অনুষ্ঠিত
- সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত, বজ্রবৃষ্টির আভাস
- মোবাইল ডেটা চালুর সিদ্ধান্ত কবে, জানালেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
- প্যারিস অলিম্পিকের প্রথম সোনা চীনের
- মার্কিন নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলেন কমলা হ্যারিস
- বিদ্যুতের লাইন টানতে গিয়ে প্রাণ গেল শ্রমিকের
- প্রতিবেশীদের হাতে বিবস্ত্রের শিকার হয়ে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
- নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা: ছয়জন রিমান্ডে
- সমানে টেক্কা দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস
- আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
- ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত
- সরকার কোটা সংস্কারের পক্ষেঃ আলোচনায় বসবে সরকার
- শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান
- পরিস্থিতি বুঝে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে: পলক
- মেসির ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে চাকরিচ্যুত দেশটির ক্রীড়া কর্মকর্তা
- সরকারের বিভিন্ন বিভাগে নিচের গ্রেডে জনবল ঘাটতি, শীর্ষে অতিরিক্ত
- শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- উর্বশীর ফাঁস হওয়া ভিডিও ক্লিপ নিয়ে আলোচনা
- রাজধানীসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- চিরকুট লিখে প্রাণ দিলেন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থী
- গাজায় যুদ্ধের সব নিয়ম ভেঙেছে ইসরায়েল, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১
- কমপ্লিট শাটডাউন সম্পর্কিত বিবৃতিপত্রটি ভুয়া
- বন্ধ ঘোষণার পর হল ছাড়ছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
- ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র!
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯২৪১ শিক্ষার্থী
- রাসূলুল্লাহ (সা.) আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে যা বলেছেন
- কুড়িগ্রামে বানের পানিতে ভেসে গেছে ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার মাছ
- বৃহস্পতিবার ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের ডাক
- ঘোড়াঘাটে কবর থেকে চুরি হওয়া হাড়গোড় উদ্ধার, আটক ৩
- কমপ্লিট শাটডাউন সম্পর্কিত বিবৃতিপত্রটি ভুয়া
- গার্লস স্কুলের ছাত্রী মিতা মারা যাওয়ার সংবাদটি মিথ্যা
- ভূরুঙ্গামারীতে নেশার টাকা না পেয়ে যুবকের আত্মহত্যা
- শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান
- ঠাকুরগাঁওয়ে মসজিদের উন্নয়ন কাজে বরাদ্দ
- খেলছিলেন ফুটবল, হঠাৎ বজ্রপাতে প্রাণ গেল সিয়ামের
- মিঠাপুকুরে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- টক দইয়ের সঙ্গে লবণ-চিনি মেশালে শরীরের কী হয়?
- রাজধানীসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদল সভাপতি গ্রেফতার
- জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ বেরোবি শিক্ষার্থীদের
- তাজুন্নেছা আহমেদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- রিজিক কী?
- বেরোবি: বৃহস্পতিবার ক্লাসের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
- জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকাই কাল হলো মুহিদের
- পীরগঞ্জে পাট ও পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষিদের প্রশিক্ষণ
- রংপুরসহ ৬ জেলায় বিজিবি মোতায়েন
- কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
- গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু