• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

কলেজের শ্রেণিকক্ষে বিয়ে মঞ্চ, মাঠে খাওয়া-দাওয়া

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

কলেজের শ্রেণিকক্ষে সাজানো বিয়ের মঞ্চ। ওই মঞ্চে বর ও কনে বসেছিলেন। আর কলেজের মাঠে বরযাত্রী ও কনে পক্ষের অতিথিদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরে বিরামপুর মহিলা কলেজে। রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কলেজের শ্রেণিকক্ষে বিয়ে করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন নবদম্পতি আরিফুল-আঁখি। 

তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ ও মাঠ কেন বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা হলো সেই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি বর ও কনে পক্ষের কেউ।

জানা যায়, বর আরিফুল ইসলাম রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শ্যামবাসেরপাড়া গ্রামের মোমিনুল ইসলামের ছেলে। আর কনে বিরামপুর পৌর শহরের পূর্ব জগন্নাথপুর মহল্লার আজাহার আলীর মেয়ে ফাতেমা বিনতে আজাহার ওরফে আঁখি। বিয়ে শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বরযাত্রীরা কনেকে গাড়িতে করে পীরগঞ্জে রওনা দেন।

স্থানীয়রা জানান, বিরামপুর মহিলা কলেজের ১০১ নম্বর শ্রেণিকক্ষে বিয়ের মঞ্চ তৈরি করা হয়। যে মঞ্চে বর ও কনে বসেছিলেন। কলেজের মাঠে বরযাত্রী ও কনে পক্ষের অতিথিদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়।
 যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ ও মাঠ কেন বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা হলো সেই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি বর ও কনে পক্ষের কেউ।

বিরামপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মেজবাউল হক বলেন, কনে আমাদের কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। কলেজে ওই মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান করার জন্য মেয়ের বাবা আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। এখন তো কলেজে ঈদের ছুটি। তাই বিয়ের জন্য কলেজের মাঠ ও কক্ষটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে।

বিরামপুর মহিলা কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সোহেল রানা জানান, কলেজের শ্রেণিকক্ষ ও কলেজ চত্বরের ভেতরে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে, এমন তথ্য তার কাছে নেই।

তবে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করার কোনো সুযোগ নেই।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা নীতিগতভাবে ঠিক নয়। কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here