• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

কুড়িগ্রামে ধরলা সেতু পাড়ে দর্শনার্থীদের ভিড়

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

কুড়িগ্রাম জেলার কোথাও কোন বিনোদন স্পট না থাকায় প্রতি বছরই কোন না কোন উৎসবে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় জমে ধরলা ব্রিজসহ আশেপাশের নদী রক্ষা বাঁধে। এদিন তীব্র যানজটের শিকার হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনসহ সাধারণ মানুষকে। তবে এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যানজট নিরসনে ধরলা ব্রিজে চালু করা হয় ওয়ানওয়ে। ফলে তীব্র যানজট থেকে মুক্তি পায় দর্শনার্থীরা।

জেলায় আর কোন বিনোদনের জায়গা না থাকলেও এখানে ঈদের দিন থেকে চলছে শতশত মানুষের মিলনমেলা। প্রতিদিনই দুপুরের পর থেকে শুরু হয় এ মিলনমেলা। বেড়ে যায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতি। এটি রাত আটটা পর্যন্ত চলে। ধরলা নদী পাড়ে ঈদ উপলক্ষে আনন্দ করতে আসা দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থেকে এসেছেন মা, মেয়ে ও তার স্বামী। হেলেনা বেগম জানান, আমরা প্রতিবছর এখানে আসি। এবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক ভালো। সেতুর মাঝ দিয়ে দেয়া হয়েছে ডিভাইডার। ফলে অনেকেই যানজটমুক্তভাবে পারাপারসহ চলাচল করতে পারছেন। বিনোদনের একমাত্র এটি ভালো জায়গা। 

কেউ কেউ এসে সেলফি তোলা নিয়ে ব্যস্ত এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন। আবার কেউবা নদীর নির্মল বাতাসের গন্ধ নেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে এসব মানুষ আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠেন। কেউবা মোটরসাইকেলে চড়ে ঘুরে দেখছেন এখানকার টি বাঁধ এলাকা। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে আসছেন নদী পাড়ে। এরা বেশির ভাগই স্থানীয় ও ঈদের লম্বা ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ। আগত নিরাপত্তায় গতবছরের চেয়ে এবার নেয়া হয়েছে কড়া পুলিশের তৎপরতা। আর তাই পর্যটকরা বেজায় খুশি ও নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। 

 ঈদের প্রথম দিন থেকে ধরলা পাড়ে মানুষের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ার মত। দূরের পর্যটক কম আসলেও স্থানীয়দের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। 

জেলার ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সার্জেন্ট মোস্তাফিজার রহমান জানান, ব্যতিক্রমভাবে এবার পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।ধরলা সেতুতে ডিভাইডার দিয়ে একমুখী চলাচল নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে ঈদে আনন্দ করতে আসা মানুষজনের স্বস্তি মিলেছে। সকলে মিলে পরিবার পরিজন নিয়ে নির্বিঘ্নে আনন্দ উৎসব করতে পারছেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here