অল্প পুঁজিতে ভুট্টার আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকেরা
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৪
Find us in facebook
নীলফামারী জেলার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান অবলম্বন কৃষি। এ জেলার উর্বর দোআঁশ, বেলে দোআঁশ মাটিতে বিভিন্ন রকম ফসল হয়ে থাকে। তবে অন্যতম রবিশস্য ভুট্টা লাভজনক হওয়ায় অল্প পুঁজিতে কৃষকেরা ঝুঁকে পড়েছেন ভুট্টা আবাদে। এবার বাম্পার ফলনে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ২৮ হাজার ৩২৩ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা গত বছর ২৬ হাজার ৬৫৫ হেক্টর। এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ লাখ ২ হাজার ৮০১ মেট্রিক টন। এর মধ্যে নীলফামারী সদর উপজেলায় ২ হাজার ৮৩০ হেক্টর, ডোমার ৩৮ হেক্টর, ডিমলা ১৪ হাজর ৩৮০ হেক্টর, কিশোরগঞ্জ ৩ হাজর ২০৫ হেক্টর, জলঢাকা ৩ হাজার ৬৭৮ হেক্টর ও সৈয়দপুর উপজেলায় ৪৩০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
চাষিরা বলছেন, জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তারা। জেলার অনেক কৃষক ধান, গম, সরিষা, পাট, কমলা, মাল্টা, আপেলকুল, চা, আম, লিচু, ড্রাগন, আদা চাষ করেন। এ ছাড়া ভুট্টা এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বদলে দিয়েছে মানুষের জীবন-জীবিকা। ভুট্টার দানা মানুষের খাদ্য হিসেবে এবং ভুট্টা গাছ ও সবুজ পাতা উন্নতমানের গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবেও এর যথেষ্ট চাহিদা আছে।
নীলফামারীর লক্ষীচাপ কাছারী গ্রামের কৃষক হারুন রশিদ বলেন, ‘এলাকার যেসব জমিতে আগে বোরো চাষ করা হতো; সেসব জমির অনেকগুলোতেই আমরা এবার ভুট্টা করেছি। বোরো চাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। অথচ যখন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়; তখন ধানের বাজারে ধস নামে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচই ওঠে না। ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম, দামও তেমন বেশি থাকে। এ জন্য আমরা ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছি।’
কিশোরগঞ্জের নিতাই গ্রামের কৃষক মজিবর বলেন, ‘আমাদের এলাকা আলু চাষের জন্য দীর্ঘদিন থেকে বিখ্যাত। উপজেলার সিংহভাগ আলু আমাদের এলাকায় উৎপন্ন হয়ে থাকে। এবার মৌসুমে আলুর দাম ভালো থাকায় চাষিরা উপকৃত হয়েছেন। তাই ভুট্টাও চাষ করছি। আশা করি ফলনও বাম্পার হবে। তবে ন্যায্য দাম পেলে কষ্ট সার্থক হবে।’
ডিমলার খালিশাচাপানী এলাকার কৃষক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘বোরো ধানের চাইতে ভুট্টায় লাভ বেশি। এ জন্য আমরা ভুট্টা চাষ করি। ভুট্টা চাষে প্রতি বিঘায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘায় ভুট্টার ফলন আসে ৪০ থেকে ৫০ মণ। বর্তমানে ভুট্টার অবস্থা খুব ভালো, যদি ভালো দাম পাই তাহলে আশা করছি অনেক লাভবান হবো।’
পলাশবাড়ী ইউনিয়ন-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বলেন, ‘এলাকায় কম খরচে বেশি ফলনশীল ভুট্টা উৎপাদনের জন্য প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিচ্ছি। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে ভুট্টাকে মুক্ত রাখতেও পরিমিত ওষুধ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে থাকি।’
নীলফামারী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক হাসান বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় ভুট্টার আবাদ অনেক বেশি। আশা করছি বাম্পার ফলন হবে। কৃষি উপকরণ সহজলভ্য হওয়ায় ভুট্টা চাষ বাড়ছে। এ বছর আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে, তাহলে ভালো ফলন পাবেন কৃষকেরা। সার্বিক পরিস্থিতি, বাজারমূল্য ভালো থাকলে ভুট্টা চাষ দিন দিন সম্প্রসারিত হবে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস. এম. আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পুষ্টিসমৃদ্ধ ভুট্টা লাভজনক ফসল হওয়ায় কৃষকেরা এটি আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। কৃষি বিভাগ তাদের নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। মাঠকর্মীরা সার্বক্ষণিক তাদের পাশে আছেন। ভুট্টা এখন গরু, মহিষ, ছাগল, মাছ, হাঁস-মুরগির খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। আগামীতে মানুষের খাদ্যতালিকায় যুক্ত হলে বাড়বে ভুট্টা চাষ।’
- শান্তর মান-ইজ্জত বাঁচালেন উগান্ডার অধিনায়ক
- হজ কাদের ওপর ফরজ, কাদের ওপর নয়?
- গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন
- টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব রক্ষায় ভারতে আইনজীবী নিয়োগ
- ১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধ
- দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেলের অবৈধ প্রদর্শন বন্ধে কার্যক্রম শুরু
- জলবায়ুর অভিঘাতের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়: পরিবেশমন্ত্রী
- ইয়াবা সেবন করে শিশু-বৃদ্ধদের পেটাতেন মিল্টন: ডিবি হারুন
- দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে: এলজিআরডিমন্ত্রী
- দেশে বেকার ২৫ লাখ ৯০ হাজার, পুরুষ বেকার বেশি
- গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দ্রুত সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু আজ
- দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
- উপজেলা নির্বাচনে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- ট্রান্সফরমার চোর চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার
- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নিরাপত্তা ব্রিফিং
- বাংলাদেশ স্কাউটস দিনাজপুর অঞ্চলের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল
- রংপুরে পাঁচ দিনব্যাপী শিল্প উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শুরু
- দিনাজপুরে ফুটেছে নানা রঙের ফুল
- হিলি বন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
- বেরোবি ও বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত
- গঙ্গাচড়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
- নাগেশ্বরীতে বাৎসরিক মিলনমেলা উৎসব
- হারাতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী কাঠের খেলনা
- ১৭৯ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে রুল
- গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ১
- কুড়িগ্রামে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থন জানিয়ে ছাত্রলীগের সমাবেশ
- মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা
- সৌন্দর্য ধরে রাখতে নজর দিন সঠিক খাদ্যাভ্যাসে
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- হারাতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী কাঠের খেলনা
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- চিলমারীতে বৃষ্টির জন্য ৩য় দিন ইসতিসকার নামাজ আদায়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- গাজার ক্ষুধার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটার বিথী
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- হিলিতে রচনা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ রক্তিম
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নিরাপত্তা ব্রিফিং
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ভূরুঙ্গামারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- ‘দেশের সব মানুষকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে’
- ঢাকায় ইসরায়েলের বিমান