• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

কৃষক মোকছেদুলের নতুন জাতের প্রতিটি আলুর ওজন ৪০০ গ্রাম

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় আলু চাষ করে বাজিমাত করেছেন কৃষক মোকছেদুল হক ভুট্টা (৪৭)। প্রতিটি আলুর ওজন প্রায় চারশ গ্রাম।

ওই কৃষকের বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ফকিরপাড়া গ্রামে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ৮০ থেকে ৯০ দিন পর জমি থেকে আলু তোলা যাচ্ছে। তার ক্ষেতের কোনো কোনো আলু ৫০০ গ্রাম ওজনেরও হয়েছে। প্রতি শতকে চার মণ আলুর ফলন পাবেন বলে দাবি করছেন ওই কৃষক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই কৃষক মাত্র ৬০ শতক জমিতে আলু চাষ করেছেন। ওই জাতের আলুর প্রচুর পরিমাণে ফলন হয়। আলু তোলার সময় ওই এলাকার লোকজন ক্ষেতে গিয়ে আলু দেখছেন। 

আলু চাষিরা বলেন, গত বছরে প্রচুর আলু হয়েছিল। কিন্তু দাম কম ছিল। এ বছর আলুর সাইজ বড় বড় কিন্তু ফলন কম, দাম বেশি। ২২ শতক জমিতে ৬৫ মণ আলু পাওয়া যায়।

অপরদিকে বর্তমান বাজারে খুচরা মূল্যে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে।

লালমনিরহাট কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর রবি মৌসুমে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৩০০ হেক্টর জমি, চাষ হয়েছে ৬৪০০ হেক্টর জমিতে। গত বছর আলুর দাম বেশি পাওয়ায় অধিক লাভের আশায় আলু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। আলু চাষে অধিক মুনাফা অর্জনের স্বপ্ন দেখছেন প্রান্তিক চাষিরা।

কৃষক মোকছেদুল হক ভুট্টা বলেন, ৬০ শতক জমিতে বারি ৯০ অ্যালুয়েট জাতের আলু লাগিয়েছি। প্রতিটি আলুর ওজন ৪০০ গ্রামের উপরে। আমি আলু চাষ করে খুবই খুশি, আগামীতে আরও বেশি জমিতে আলুচাষ করবো।

একই এলাকার কৃষক রেজাউল করিম বলেন, জমিতে প্রচুর পরিমাণে আলু হয়েছে। প্রতিটি আলুর সাইজ বড় বড়, আমরা আলু দেখতে মাঠে এসেছি। এত বড় বড় আলু এই এলাকায় আগে কখনো দেখিনি।

হাতীবান্ধার কৃষি উপপরিদর্শক লতিফুল বারি বলেন, এই জাতের আলু ৮০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে পাওয়া যায়। ওই কৃষক এ বছর প্রতিবিঘা (২৭ শতক) আলু চাষ করে ১০১ মণ আলু পেয়েছেন। এই আলুতে কোনো স্প্রে লাগেনা। রোগবালাইও কম।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন মিয়া বলেন, বারি ৯০ অ্যালুয়েট জাতের আলু বীজ গবেষণাগার থেকে প্রথম ওই জমিতে চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে। এতে কৃষকরা উৎসাহিত হবেন। এই জাতের আলুর প্রতি বিঘায় ১১০ থেকে ১২০ মণ ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই আলুচাষিকে কৃষি অফিস থেকে সব সময় সহযোগিতা করা হচ্ছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here