• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

দিনাজপুরে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুর বাড়িতে সুমাইয়া 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

আত্মগোপনে ছেলের বাড়ির লোকজন লোটাস আহম্মেদ, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে টানা ৪৫ দিন যাবত স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছেন সালমা আক্তার সুমাইয়া (২৫) নামের এক নারী। অপরদিকে ওই নারীকে বাড়িতে না উঠাতে বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে গেছেন স্বামী মামুনুর রশিদসহ তার পরিবারের লোকজন।

ঘটনাটি ঘটেছে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মোল্লাপাড়া গ্রামে। স্বামী মামুনুর রশিদ ওই গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে। অপরদিকে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করা সুমাইয়া ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার দক্ষিণ মান্দ্রাজ গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে।

মানুনুরের আগেরও একজন স্ত্রী আছে এবং স্ত্রী দাবি করা সুমাইয়া স্বামী পরিত্যক্তা। দীর্ঘ সময় স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করা এই নারী খাবারের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। মানুষের বাড়িতে দু-মুঠো খেয়ে দিন যাচ্ছে তার। সুমাইয়ার অভিযোগ বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য তাকে একাধিকবার মারপিট করেছে স্বামী মামুনুর রশিদের নিকট আত্মীয়রা। এ নিয়ে ঘোড়াঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এই নারী।

রোববার দুপুরে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে তার সাথে কথা বললে সুমাইয়া দাবি করেন, তার বোনের বিয়ে হয়েছে বগুড়া জেলায়। গত বছর ঢাকা থেকে বাসে চড়ে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি ও তার মা। তখন ওই বাসের হেলপার ছিল মামুনুর। মামুনুর টিকেট কাউন্টার থেকে সুমাইয়ার নাম্বার সংগ্রহ করে তাকে কল দেন। টানা একমাস কথা বলার এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা দুজনে।

এরপর গত বছরের কুরবানির ঈদের পর মামুনুর ভোলায় গিয়ে সুমাইয়াকে ঢাকায় নিয়ে আসেন এবং সেখানে ৩ লাখ টাকা কাবিনমূলে তাকে বিয়ে করেন। এরপর কিছু সময় বাড়ি ভাড়া নিয়ে তারা ঢাকায় সংসারও করেছেন। এর মাঝে একবার মামুনুরের বাড়িতেও এসেছিলেন তিনি।

গত মাসে মামুনুর সুমাইয়াকে তার নিজ বাড়ি ঘোড়াঘাটে আসতে বলেন। স্বামীর কথা অনুসারে গত ১০ জানুয়ারি তিনি মামুনুরের বাড়িতে আসেন। তবে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে পুত্রবধূ হিসেবে অস্বীকার করেন। তখন স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান নিলে মামুনুর সহ তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। 

এ বিষয়ে জানতে মানুনুর রশিদের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও, ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারী সুমাইয়া একদিন থানায় ফোন করেছিলেন, যে তাকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে দিচ্ছে। তাৎক্ষণিক আমরা গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছি।

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলের সাথে কথা বলেছি। তাকে উভয়পক্ষকে নিয়ে সমস্যা স্থায়ী সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। এরপরেও যদি ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। তবে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
 

Place your advertisement here
Place your advertisement here