• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

রংপুর বিভাগে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ভোট

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

তৃতীয় ধা‌পে রংপুর বিভাগের ১৯টি উপজেলায় ১৫১ ইউ‌নিয়ন প‌রিষদে সাধারণ নির্বাচ‌নের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এদিকে ইউনিয়ন ছাড়াও রংপুরের পীরগঞ্জ পৌরসভা ও নীলফামারী পৌরসভার ভোটাররা আজ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

তৃতীয় ধাপের এ নির্বাচনে রংপুর বিভাগে ৫ ইউনিয়নে ইভিএমে ও বাকি ১৪৬টিতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। এদিকে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার ঠেকাতে কেন্দ্রসহ নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েন রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।

রংপুর আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন সূত্র জানায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার দশ ও আটোয়ারীর চারটিসহ মোট ১৪ ইউনিয়নের ১২৬টি ভোটকেন্দ্রে, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর সাত ও পীরগঞ্জ উপজেলার দশটিসহ ১৭ ইউপির ১৫৪টি ভোটকেন্দ্রে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর পাঁচটি ও সুন্দরগঞ্জের তেরটিসহ ১৮ ইউপির ১৭৪টি এবং নীলফামারীর জলঢাকায় ১১ ও কিশোরগঞ্জের আটসহ ১৯টি ইউপির ১৮০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

এছাড়া দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে নয়, বিরামপুরের ছয় ও ফুলবাড়ীর সাতটি ইউপির ২০০টি ভোটকেন্দ্রে, লালমনিরহাট সদরে নয় ও কালীগঞ্জের আটসহ ১৭ ইউপির ১৭৫টি কেন্দ্রে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার আট, ফুলবাড়ীর ছয় ও নাগেশ্বরীর বারোটিসহ মোট ২৬টি ইউনিয়নের ২৮৩টি ভোটকেন্দ্রে এবং রংপুর সদরের দুই, তারাগঞ্জের পাঁচ ও কাউনিয়া উপজেলার ছয়টি ইউপির মোট ১৪১ ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ১৫১ ইউপিতে ১ হাজার ৪৭৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৯ হাজার ৫১ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ১৮ হাজার ১০২ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নীলফামারী ও পীরগঞ্জ পৌরসভায় ২৫ জন প্রিসাইডিং , ১৬৬ সহকারী প্রিসাইডিং এবং ৩৩২ জন পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে রংপুরে তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি, ইকরচালী, আলমপুর, সয়ার ও কুর্শা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩০, সংরক্ষিত আসনে নারী সদস্য পদে ৭১ ও সাধারণ সদস্য পদে ১৭৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের পাঁচ, জাতীয় পার্টির এক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পাঁচ, জাসদের এক ও স্বতন্ত্র ১৮ প্রার্থী রয়েছেন। এই পাঁচ ইউনিয়নে ৫৫ হাজার ৮৫২ জন পুরুষ এবং ৫৫ হাজার ১৫৬ জন নারী ভোটার আছেন।

কাউনিয়া উপজেলায় ৬ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছয়জন করে, জাতীয় পার্টির দুই এবং স্বতন্ত্র ১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭৭ এবং সাধারণ সদস্য পদে ২০০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই উপজেলার সারাই, হারাগাছ, কুর্শা, শহীদবাগ, বালাপাড়া ও টেপামধুপুরে ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার জন।

রংপুর সদর উপজেলার খলেয়া ও মমিনপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০, সংরক্ষিত নারী সদস্য ২৪ এবং সাধারণ সদস্য পদে ৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ দুই ইউপিতে ৪৪ হাজার ২৭৩ জন ভোটার আছেন। এছাড়া পীরগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে ৩, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ১১ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩১ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ৮৬১ জন। 

রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকাল ৮টা থেকে রংপুর বিভাগের ১৫১ ইউনিয়নের মধ্যে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, দিনাজপুরের বিরামপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী এবং গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে একটি করে ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। 

এছাড়া বাকি ১৪৬টি ইউপিতে ব্যালট পেপারে ভোট প্রদান করছেন ভোটাররা। এই দফায় ১৫১টি ইউনিয়নে ৮২২ জন চেয়ারম্যান, এক হাজার ৯৯৫ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য এবং সাধারণ সদস্য পদে পাঁচ হাজার ৩৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৮৩০ ভোটার রয়েছেন বলেও তিনি জানান।

এদিন নীলফামারী পৌরসভা ও রংপুরের পীরগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে ৬ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ৩৩ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯১ জন প্রার্থী নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নারী-পুরুষ মিলে দুই পৌরসভায় এবার ৫০ হাজার ৮৪২ জন ভোটার।

নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য এবং ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্র ছাড়াও নির্বাচনী এলাকাগুলোতে বিজিবি, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল টিম এলাকায় টহল দিচ্ছে এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here