• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

প্রত্যন্ত গ্রামেই বন্দি আদরীর প্রতিভা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

সুমিষ্ট কণ্ঠের অধিকারী অসাধারণ এক প্রতিভার খোঁজ মিলেছে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম চৌপুকুরিয়ায়। ঐ গ্রামের বাসিন্দা ও দিনাজপুর সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী আদরী রানী সরকারের সুমিষ্ট কণ্ঠে গান শুনলে মনে হবে ভারতের জনপ্রিয় শিল্পী চিত্রা সিং গান গাইছেন। অথচ সুযোগের অভাবে এ প্রতিভা পারছে না বিকশিত হতে। বছরের পর বছর রয়ে যাচ্ছে নিভৃতেই।

দিনাজপুর শহরের একটি ছাত্রী নিবাসে থেকে দিনাজপুর সরকারি কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স করছেন আদরী রানী সরকার। ছাত্রীনিবাসে সুযোগ পেলেই বান্ধবীদের সঙ্গে খালি গলায় গান ধরেন। এছাড়া মাঝেমধ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মঞ্চ ও পূজামণ্ডপে গান করেন তিনি। এর মধ্য দিয়েই কিছুটা পরিচিতি বেড়েছে তার।

 আদরীরর বান্ধবী তাজমিরা বলেন, খালি গলায় কেউ এত সুন্দর গান গাইতে পারে তা আদরী না থাকলে জানতাম না। পড়াশোনার ফাঁকে ওর গান শুনেই আমরা ক্লান্তি দূর করি। সুযোগ পেলে নিজের প্রতিভা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে সুনাম অর্জন করতে পারবে আদরী।

সুযোগ পেলে নিজের প্রতিভা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে চান আদরী রানী সরকার
সুযোগ পেলে নিজের প্রতিভা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে চান আদরী রানী সরকার

স্থানীয় গোবিন্দ চন্দ্র সরকার বলেন, গ্রামের মানুষের কাছে আদরী কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই পরিচিত। গ্রামাবাসী তার কণ্ঠে গান শুনে মুগ্ধ। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হওয়ায় প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে না সে।

আদরীর মা চৈতি রানী সরকার বলেন, আমার মেয়ে ছোটবেলা থেকেই ভালো গান গায়। কিন্তু আমরা গরীব, ইচ্ছা থাকলেও আদরীকে গানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার সামর্থ্য নেই।

আদরী রানী সরকার বলেন, ছোটবেলা থেকেই শখের বসে একা একা গান গাই। মাঝেমধ্যে স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মঞ্চ ও পূজামণ্ডপে গান গাওয়ার আমন্ত্রণ পাই। প্রতিষ্ঠানিকভাবে কখনো গান শেখার সুযোগ হয়নি। এখন ইউটিউব-মোবাইলে শুনে শুনে গান ও সুর আয়ত্ব করার চেষ্টা করছি।

তিনি আরো বলেন, আমার গান সারাদেশ ও বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই। এ জন্য প্রশিক্ষণ, সুযোগ ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here