উত্তরে কমছে তাপমাত্রা, ডিসেম্বর থেকে শৈত্যপ্রবাহ
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২১
Find us in facebook
অগ্রহায়ণের শেষ ভাগে এসে রংপুরে দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে হাড় কাঁপানো শীত। হিমেল হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে ঘন কুয়াশা। সন্ধ্যা নামতেই সড়কে আলো জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। ঘরে বাইরে উষ্ণতা পেতে শরীরে উঠেছে মোটা কাপড়।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে শৈত্যপ্রবাহ। এ সময় তাপমাত্রা কমতে থাকবে। বাড়বে শীতের তীব্রতা। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই অঞ্চলে কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে শীত মৌসুমের প্রথম ধাক্কা সইতে পারছে না শিশু ও বয়স্করা। হাসপাতাল ও ক্লিনিকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শহর থেকে একটু দূরে গ্রামে থাকা ছিন্নমূল, অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা নাকাল। আগাম শীতের প্রকোপ মোকাবিলায় প্রস্তুতি না থাকায় অনেকেই কষ্টে আছেন।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত রংপুর নগরের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সাতসকালে কাজের প্রয়োজন বের হওয়া সাধারণ মানুষ ছিল গরম কাপড়ে মোড়ানো। নগরীর শাপলা চত্বর এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কাজের সন্ধানে আসা দিনমজুরদের জবুথবু হয়ে বসে থাকতেও দেখা গেছে। রংপুর সদর, গঙ্গাচড়া, বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, কাউনিয়া, পীরগাছা, তারাগঞ্জ ও পীরগঞ্জ উপজেলার নিভৃত গ্রামগুলোতেও শীত জেঁকে বসার তথ্য পাওয়া গেছে ।
শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুরে ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে। এখানে আজকের তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হিমেল হাওয়ায় সঙ্গে ঝিরিঝিরি জলফোঁটায় ভিজে গেছে প্রকৃতির বুক। দিগন্ত জোড়া মাঠে প্রতিদিনের মতো কাজে ব্যস্ত কৃষাণ-কৃষাণী। শীতের সকালে সবুজের ক্ষেতবুননে তাদের কাছে লাপাত্তা শীত। ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনের পাশাপাশি গবাদি পশুপাখিও টের পাচ্ছে শীতের তীব্রতা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ ভেদ করে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ায় স্বস্তি ফিরেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়।
রংপুর নগরের ময়নাকুটি এলাকায় ইমাম হোসেন বলেন, ‘হামার মতো গরিব মাইনসের মোটা কাপড় দরকার। ভোরবেলা খুব শীত পড়ে। সন্ধ্যা হইলে গাও কাঁপে। মাঘ মাস নাই আসতে যে শীতের তীব্রতা, তাতে গ্রামের কামলা মাইনসের অবস্থা খুব খারাপ।’
একই গ্রামের কৃষক জহুর আলী বলেন, শীতের সময় আমাদের কষ্ট বেশি। কিন্তু উপায় নেই, কাজ তো করতেই হবে। কেউ কেউ সন্ধ্যার সময় খোলা জায়গায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন। কিন্তু মধ্যরাত থেকে লেপ-তোষক ছাড়া ঘুমানো মুশকিল।
এদিকে দিন দিন শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় রংপুরের হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও অ্যাজমাসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে শীতজনিত রোগে প্রায় ১৩শ শিশু ও বয়স্ক রোগী ভর্তি হয়েছে।
রমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এসএম নুরুন্নবী শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে শিশুদের চিকিৎসার পাশাপাশি গরম কাপড় ও উষ্ণতার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে বরাবরই শীতের প্রকোপ বেশি। শীতকালে উত্তর জনপদে শীতজনিত রোগের প্রকোপ অনেকটা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে শিশু ও বয়স্কদের ওপর।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে। সঙ্গে দিন দিন তাপমাত্রা কমতে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা কমে কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে রংপুরসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে।
- ৭ বছর ধরে নিজ বাড়িতে শিকলে বন্দী নুর
- রাণীশংকৈলে কৃষকের মাঝে বিনামূল্য পাটবীজ ও সার বিতরণ
- সৈয়দপুরে ফেসবুক লাইভে থেকে যুবকের আত্মহত্যা
- কুড়িগ্রামে ভুটানের রাজার মধ্যাহ্নভোজের মেন্যুতে যা যা ছিল
- সুন্দরগঞ্জ হৃদরোগে আক্রান্ত রুসদাকে বাঁচাতে মায়ের আকুতি
- বালিয়াডাঙ্গীতে বাড়ির আঙিনায় গাঁজা চাষ, গ্রেপ্তার ১
- ভেজাল খাদ্যপণ্য সরবরাহ, বিরামপুরে ২ জনের কারাদণ্ড
- রংপুরে আলু পরিবহনে ফিরেছে ঘোড়ার গাড়ি
- বিরামপুরে এক পা বিশিষ্ট্য সন্তানের জন্ম
- রংপুরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় আগেই
- ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
- হাতীবান্ধায় জেলের জালে উঠে এল প্রতিবন্ধী যুবকের মরদেহ
- শখের ড্রাগন বাগানে স্বাবলম্বী জহুরুল ইসলাম
- চিরিরবন্দরে সেচের কাজে এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে সেঁউতি-দোন
- পার্বতীপুরে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাই-সাইকেল বিতরণ
- কিশোরগঞ্জে হতদরিদ্র ১৬০ নারীর মাঝে বকনা গরু বিতরণ
- কুড়িগ্রাম পরিদর্শন শেষে ভুটানের রাজা ফিরলেন নিজ দেশে
- রংপুরে ইফতারে পছন্দের তালিকায় ‘মস্কট শাহী হালুয়া’
- নাগেশ্বরীতে ল্যাম্ব’র উদ্যোগে শিখন বিনিময় কর্মশালা
- ডোমারে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা
- কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
- পলাশবাড়িতে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার ১
- বীরগঞ্জে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ দুই নারী আটক
- স্বপ্নজয়ী মা নাজমা রহিমের দাফন সম্পন্ন
- সারাদিন না খেয়ে থাকায় মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে, সমাধানে করণীয়
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- ফজর সালাতের প্রতি আর গাফেলতি-অলসতা আসবে না, যদি...
- ঢাকায় ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- ঠাকুরগাঁওয়ে অ্যাম্বুলেন্স-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ১
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
- কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে অব্যাহতি
- গাজায় শিশুহত্যা চলছে, কোথায় বিশ্বমানবতা- প্রধানমন্ত্রী
- ১২ বছরে প্রাথমিকে ২ লাখ ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
- রমজানে মুমিন মুসলমানের প্রতিদিনের আমল
- রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে যা করবেন
- সেবক হয়ে জেলা প্রশাসকদের কাজ করে যেতে হবে : স্পিকার
- জলবিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- চলছে কর্মযজ্ঞ, অক্টোবরে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু
- সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যদের শপথ আজ
- শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ শুরু হবে যখন
- রোজা রাখার ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
- নীলফামারীতে বিটরুট চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার
- মধ্যপন্থা: মুমিনের বৈশিষ্ট্য
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে