• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ঈদের কেনাকাটায় ফুটপাতই ভরসা নিম্ন আয়ের মানুষের

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রংপুরের মার্কেটগুলোতে জমে ওঠেছে কেনাকাটা। উচ্চবিত্তরা নামিদামি শপিংমল থেকে কেনাকাটা করলেও নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা হয়ে ওঠেছে শহরের ফুটপাতের দোকানগুলো।

ঈদের আগে চাকরিজীবীরা হাতে পেয়েছেন বেতন বোনাস। অন্যান্য পেশার মানুষ ঈদের জন্য টাকা জমিয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় ও অন্যান্য দ্রব্য কিনছেন। নিম্ন আয়ের মানুষ ফুটপাতের বিভিন্ন দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন এবং স্বল্পমূল্যে ঈদের কেনাকাটা করছেন।

রংপুরের জাহাজ কোম্পানি মোড়, পৌর বাজার, স্টেশন রোড ও পুলিশ লাইন্সের সামনে রাস্তার পাশের দোকানগুলো নিম্নআয়ের মানুষদের ভরসাস্থল। এখানে শিশুদের পোশাকসহ বড়দের শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি-পাজামা, সালোয়ার-কামিজ, জুতা-মোজা, স্যান্ডেল, ব্যাগ, বেল্টসহ নানা ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। এখান থেকে পছন্দমতো কেনাকাটা করে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকে।

শনিবার রংপুর শহরের ফুটপাতের দোকানগুলোতে দেখা যায়, পা ফেলার জায়গা নেই। বেচাবিক্রি জমে ওঠায় খুশি বিক্রেতারা। ক্রেতারাও সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটা করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করছেন।

জাহাজ কোম্পানি মোড়ের ফুটপাতে কাপড় কিনতে এসেছেন দিনমজুর সামছুল আলম। তিনি বলেন, এখানে কম দামে কাপড় পাই। এ জন্য ঈদের সময় পরিবারের সদস্যদের নতুন কাপড় দিতে পারি। আমরা তো আর দামি কাপড় কিনতে পারি না।

শহরে একটি এনজিওর কর্মচারী মাহাবুর রহমান। তিনি বলেন, স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের জন্য মাত্র চার হাজার টাকার মধ্যে সব করমের কেনাকাটা শেষ করেছি। পরিবারের সদস্যরা ঈদে নতুন জামা পেয়ে খুশি।

জাহাজ কোম্পানি মোড়ে ফুটপাতে কাপড় নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ী নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, বিক্রি ভালোই হচ্ছে। শিশুদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। শিশুদের জন্য মাত্র ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে ভালোমানের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও নারীদের সালোয়ার কামিজ ও ছেলেদের জন্য শার্ট-প্যান্ট ও পাঞ্জাবি সবই হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করছি।

শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভ্যানে করে শিশুদের পোশাক বিক্রি করেন সবুজ সরকার। তিনি বলেন, দিনমজুর, রিকশাচালক ও নিম্নআয়ের মানুষ আমাদের এখানে কেনাকাটা করতে আসেন। আবার মধ্যবিত্তরাও আসেন। অনেক মধ্যবিত্ত মানুষ আছেন, যারা বেতনে কুলাতে পারেন না, আর্থিক সামর্থ্য কম। তারা এখানে কেনাকাটা করতে আসেন।

রিকশাচালক হুমায়ুন আহমেদ বলেন, আমাদের ঈদ মার্কেট বলতে ফুটপাতের দোকান। এ দোকানগুলোর বাইরে কেনাকাটা করার সামর্থ্য আমার নেই।

মেয়েদের কাপড় কিনছিলেন জুলেখা আক্তার।  তিনি বলেন, তিন মেয়ের জন্যে ১৫০০ টাকায় কাপড় নিলাম। এখন আমার জন্যেও কিনব।

ফুটপাতের দোকানগুলোতে শুধু কাপড়ই নয় বিভিন্ন ধরনের জুতা, ব্যাগ, মেয়েদের প্রসাধনী, কমদামি গহনাসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়। এ দোকানগুলো থেকে চাহিদা মেটাচ্ছেন নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here