• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

পীরগঞ্জে নতুন খনির সন্ধান, যা জানা গেল

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের পীরগঞ্জে আধুনিক যন্ত্রপাতি বসিয়ে ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে একটি ধাতব খনির অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর। 

বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের পরিচালক আলী আকবর জানান, খনিতে তামা, লোহাসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদ থাকতে পারে। তবে সেটি জানতে ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগবে। এখানে খনিজ সম্পদের অস্তিত্ব পেয়েছি। এটা একটা বিরাট পাওয়া; এটি দেশের অর্থনীতিকে পরিবর্তন করতে পারে।

স্থানীয়রা জানান, এখানে খনিজ সম্পদ আছে এতো দিন আমরা জানতাম না। তবে খনিতে লোহা, তামা বা স্বর্ণ যেটাই হোক না কেন; এটা শুধু পীরগঞ্জে না গোটা দেশেই অবদান রাখবে। খনিজ সম্পদের সন্ধান এবং উত্তোলন শুরু হলে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান পাল্টে যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুদ্দোজা মিয়া বলেন, খনিটি দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও উত্তোলনের ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিবেচনায় রাখতে হবে। এই খনি অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।

২০১৯ সালে দিনাজপুরের হাকিমপুরে একটি লোহার খনির সন্ধান পায় বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর। খনিটিতে উন্নত মানের লোহার পাশাপাশি মূল্যবান কপার, নিকেল ও ক্রোমিয়ামেরও উপস্থিতি পাওয়া যায়। যেখানে প্রায় ৫০ কোটি থেকে ৬০ কোটি মেট্রিক টন খনিজ সম্পদ রয়েছে।

১৯৭৪ সালে দিনাজপুরে মধ্যপাড়ায় মূল্যবান গ্রানাইট পাথরের সন্ধান পায় ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর। ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিদিন এই খনি থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন গ্রানাইট পাথর।

১৯৮৫ সালে এই জেলাতেই আবিষ্কৃত হয় বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি। যেখানে মজুদের পরিমাণ ৩৯ কোটি মেট্রিক টন কয়লা। বড় পুকুরিয়া ছাড়াও এই বিভাগে বেশ কয়েকটি কয়লা খনি রয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here