• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

তিস্তায় মাছ ধরার ধুম

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

ভারতের উত্তর সিকিমে প্রবল বৃষ্টিপাতে উজানে বাঁধ ভাঙায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। তবে বর্তমানে তা কমতে শুরু করেছে। আর পানি কমায় তিস্তা নদীতে মাছ ধরার ধুম লেগেছে। জালে ধরা পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল  থেকেই দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের উজানে মাছ ধরতে দেখা যায় জেলে ও নদীপাড়ের বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে রেল ও সড়ক সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে  পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তার উজানে সৃষ্ট চরের পাশে হাঁটু-কোমর পানিতে নানান জাল দিয়ে মাছ শিকারের ধুম লেগেছে। কেউ জীবিকার তাগিদে আবার কেউ শখের বসে মাছ ধরতে নদীতে নেমেছেন। পরিবারের অন্যদের সঙ্গে মাছ ধরতে ব্যস্ত শিশু-কিশোররাও। জালে ধরা পড়েছে বৈরালী, বোয়াল, আইড়, গুলশা, টেংরা, কালিবাউশ, পুঁটি, টাকিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে নদীতেই মাছ বিক্রি করছেন কেউ কেউ।

মাছ ধরতে আসা কয়েকজন জানান, তিস্তায় বৈরালি ছাড়াও ধরা পড়ছে বোয়াল, বাগাড়, আইড়, কালিবাউশ, রিঠাসহ নানা প্রজাতির মাছ। আর এসব মাছ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। নদীর পাড় থেকে মাছ ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা সরাসরি এসব মাছ সংগ্রহ করছেন।

মাছ শিকারে আসা নুর ইসলাম বলেন, সবার কাছে শুনলাম তিস্তায় বন্যায় প্রচুর মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তাই আমিও আসছি। আমি যা মাছ পেয়েছি তা আমার পরিবারের চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট।

কাউনিয়া তকিপল বাজার এলাকায় থেকে আসা আমজাদ নামে আরেক মাছ শিকারি বলেন, এখন আর আগের মতো মাছ নেই। তিস্তায় পানি বাড়ার কারণে মাছ পাওয়া যাচ্ছে।

মাছ ক্রেতা মোকছেদ আলী জানান, শুনেছি তিস্তার মাছের অনেক স্বাদ। সরাসরি নদী থেকে মাছ কিনতে পাচ্ছি। পাঁচশো টাকা কেজি দরে এককেজি  বৈরালি মাছ কিনেছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিদুল হক জানান, ভারতের সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমরা তিস্তাপাড়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করেছিলাম। তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছিল। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তি নিম্নাঞ্চলে কিছু পানি ঢুকেছিল, এখন সেই পানি নামতে শুরু করেছে। আপাতত ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি না। বন্যা হলে আমাদের সব রকম প্রস্তুতি নেয়া আছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here