• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

কাউনিয়ায় তিস্তায় বিলীন অর্ধশত বাড়ি ও আবাদি জমি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

পাহাড়ি ঢল ও গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণের ফলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্রবল বেগে ধেয়ে আসা পানির তোড়ে রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলায় নদীভাঙন মারাত্মক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিন দিনে কাউনিয়া উপজেলার গদাই গ্রামে অর্ধশত বাড়িঘর এবং শতাধিক বিঘা আবাদি জমি বিলীন হয়ে গেছে। দুর্গম চরাঞ্চলে আরও ১০টি গ্রামে নদীভাঙনের আশঙ্কায় শত শত পরিবার বাড়িঘর ও মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে।

কাউনিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে নদীবেষ্টিত, চরগনাই, হায়বৎখাঁ, ঢুষমারা, আজমখাঁ, নাজিরদহ, গুপিডাঙ্গা ও গদাই গ্রামে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। তিন দিনে ৫০টি পরিবারের বাড়িঘর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সর্বস্ব হারিয়ে তারা খোলা জায়গায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনেক আগে থেকে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আকুতি জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ জন্য সর্বস্বান্ত হয়েছে বহু পরিবার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু জিওব্যাগ নদীতে ফেলে ভাঙন রোধে মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করেছে। এই কাজটা তিন দিন আগে শুরু করলে পরিবারগুলো নিঃস্ব হতো না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

সরেজমিনে গিয়ে গদাই গ্রামে দেখা যায়, তিস্তা নদীর তীব্র স্রোত আছড়ে পড়ছে চরাঞ্চলের গ্রামে।

ওই গ্রামের আবুল কালাম জানান, তার তিনটি ঘর রাতের মধ্যেই বিলীন হয়ে গেছে। কোনো মালামাল বের করার সময় পাননি। দুটি গরু ও তিনটি ছাগলকে কোনো রকমে রক্ষা করতে পেরেছেন।

এদিকে, ঢুস মারার চর, আজমখা, গুপিডাঙ্গা চরের শতাধিক পরিবার জরুরিভিত্তিতে বাড়িঘর ও আবাদি জমি রক্ষা করার জন্য বালুর বস্তা ফেলার আকুল আবেদন জানিয়েছেন। 

এ ব্যাপারে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, উজানে বিশেষ করে ভারতের কোচবিহার, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পংসহ আরও কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। উজানের পানি নেমে আসায় তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। নদীভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here