• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

মাটির নিচে প্রাচীন নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া গেল

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে খনন করে মাটির নিচে প্রাচীন নিদর্শনের সন্ধান মিলেছে। খননে বেরিয়ে আসছে ইটের তৈরি প্রাচীন অবকাঠামোসহ বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।

রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আট সদস্যের একটি দল বিরাট রাজার ঢিবিতে প্রথমবারের মতো খনন কাজ পরিচালনা করছেন। এ কাজ শুরুর অল্প কয়েকদিনের দিনের মধ্যেই বেরিয়ে আসে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো। খনন কাজে নিয়োজিতদের ধারণা এগুলো প্রাচীন ও মধ্যযুগের।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক বিরাট রাজার এলাকায় ঢিবি খনন করে এসব প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় অবকাঠামোর সন্ধান পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজা বিরাট এলাকায় দেখা যায়, দীর্ঘদিন সংরক্ষিত ৫০ মিটার প্রস্থ, ৩৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৪ মিটার উচ্চতার একটি ঢিবিতে খনন কাজ পরিচালনা করছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত আট সদস্যের একটি দল। খনন কাজ করছেন ২০ জন দক্ষ শ্রমিক। তারা ধীরে এবং অত্যন্ত যত্নে খনন কাজ করছেন। খননে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে প্রাচীন যুগের বিভিন্ন অবকাঠামোর নিদর্শন।

এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক এবং খননকারী দলের প্রধান ড. নাহিদ সুলতানা বলেন, খননে ধারণার চেয়ে বড় আকারের অবকাঠামো পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত এখানে পোড়ামাটির ভগ্নাংশ, পোড়ামাটির ফলক, অলংকৃত ইট (সাধারণত ধর্মীয় উপাসনালয়ের সাজসজ্জায় ব্যবহৃত), ভিত্তিপ্রস্তর পিলার পাওয়া গেছে। এগুলো প্রাচীনত্বের সাক্ষ্য বহন করে। তবে নিদর্শনগুলো ঠিক কোন সময়ের এবং কারা এখানে বাস করতেন বা কাদের রাজ্য ছিল; বড় আকারে খনন কাজ সম্পন্ন না হলে তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়।

নাহিদ সুলতানা আরো বলেন, প্রত্নস্থলটি এরই মধ্যে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বড় পরিসরে খনন কাজ করে জায়গাটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

জনশ্রুতি আছে- এখানে প্রাচীন একটি দুর্গ নগরী ছিল। এর নিরাপত্তার জন্য ছিল সুউচ্চ প্রাচীর এবং এর বাইরে ছিল প্রশস্ত ও সুগভীর পরিখা। তবে খননকারী দল এখন পর্যন্ত প্রাচীন দুর্গ নগরীর কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি। ধারণা করা হচ্ছে- মূল অবকাঠামোর সঙ্গে আরো দুই-তিনটি মন্দিরের সংযোগ সড়ক ছিল, যা ধ্বংসপ্রাপ্ত।

আনুষ্ঠানিক খনন কাজের আগে এখানে ১৯৭৮ সালে পাওয়া যায় সংস্কৃত অক্ষরে খোদাই করা ‘নম: নম: বিরাট’ লেখা নয় ইঞ্চি দীর্ঘ মহামূল্যবান একটি শিলালিপি। এটি বগুড়ার মহাস্থান জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। এখানে পাওয়া কৃষ্ণ রঙের শিলা পাথর দ্বারা তৈরি হস্তী মস্তক রাজশাহী জাদুঘরে ও সিংহদ্বারের একটি পাথরের খাম্বা মহাস্থান জাদুঘরে আছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here