• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

অর্থনৈতিক সূচকে অগ্রগতি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

২০২০ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাবে স্থির মূল্যের সমতায় বাংলাদেশের জিডিপির আকার ৩০তম এবং চলতি ডলার মূল্যে অবস্থান ৩৯তম। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মাথাপিছু জাতীয় উৎপাদনে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ। 

এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। যদিও করোনার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতেও ধ্বস নামার আশঙ্কা করেছিল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো। তবে শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবল দেখিয়ে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রায় প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২০ শতাংশই পুনর্নির্ধারণ করে। বিগত ৫০ বছরের মধ্যে গত দশকে গড় প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি ছিল (৬.৭৬ শতাংশ)। বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে প্রতি দশকে ১ শতাংশ পয়েন্ট প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। এটি একটি অনন্য অর্জন। যদিও প্রথম পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনায় ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ ধরা হয়েছিল।

পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, ২০২০-২১ সালে নিম্নমধ্যম আয় থেকে উচ্চমধ্যম আয়ে উন্নীত হওয়ার সীমা হলো মাথাপিছু আয় ৪ হাজার ৪৫ মার্কিন ডলার (এটলাস পদ্ধতিতে)। ২০২০ সালের অর্থনোইতিক সমীক্ষা অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২০৬৪ মার্কিন ডলার। স্বাধীনতার পর থেকে মানুষের মাথাপিছু গড় আয় ১৫ গুণ বেড়েছে এবং মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা—এই তিনটি সূচকের দুটিতেই উত্তরণ ঘটলেই একটি দেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের সুযোগ পাবে, যা বাংলাদেশ অনেক আগেই তা অর্জন করেছে।

অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর অন্যতম আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স। ২০২০ সালে ২,১৭৪ কোটি ডলার আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ১৮.৬৬ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে আয় এসেছিল ১,৮৩২ কোটি টাকা। প্রবাসী আয় বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া শুরু করে সরকার। এরপর থেকেই প্রবাসী আয়ে গতি আসে। রেমিট্যান্সপ্রবাহ অব্যাহতভাবে বাড়ার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলারের সর্বোচ্চ রেকর্ড অতিক্রম করেছে।

করোনা মহামারির মধ্যে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২০-২০২১) প্রথম মাস জুলাইয়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয় বেশি হয়েছে অন্তত ৩ কোটি মার্কিন ডলার। শুধু তা-ই নয়, করোনার বাস্তবতা সামনে রেখে জুলাই মাসে রপ্তানি আয় বাড়ার মধ্য দিয়ে নেতিবাচক ধারা থেকে বেরিয়ে এলো এই খাত, অর্থাৎ সাত মাস পর বাংলাদেশ রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধিতে ফিরে এসেছে। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল রপ্তানি আয়ে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here