• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

‘ওটিটিতে দর্শক ধরে রাখতে হলে গল্পে ভিন্নতা থাকতে হবে’

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

নাটক, চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজে নিয়মিত কাজ করছেন অভিনেত্রী তানহা তাসনিয়া। সেই ধারাবাহিকতায় এবার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হলেন তিনি। নিজের নতুন ছবি, অভিনয় ভাবনাসহ ইন্ডাস্ট্রি নানা বিষয়ে তিনি কথা বললেন প্রতিবেদকের সঙ্গে।

কোন কাজগুলো নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
‘ডোম’ শিরোনামের একটি ওয়েব সিরিজের কাজ শেষ করলাম। পাশাপাশি ভালোবাসা দিবসের বেশ কয়েকটি কাজের কথা চলছে। এছাড়া ‘তারামন’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হলাম। শিগগিরই ছবিটির শুটিং শুরু করব।

‘তারামন’ ছবির গল্প ও চরিত্র প্রসঙ্গে জানতে চাই— 
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের যে অবদান ছিল সেটাই এই ছবিতে তুলে ধরা হবে। তারামনের পাশাপাশি অন্যান্য নারীদের ভূমিকা এতে উঠে আসবে। আমাদের ছবিগুলো নারীকে বীরাঙ্গনা হিসেবে তুলে ধরা হলেও অস্ত্র হাতে তাদের যুদ্ধকে সেভাবে তুলে ধরা হয়নি। এবার সেটিই হতে যাচ্ছে। ছবিটিতে আমি তারামন বিবির চরিত্রটি রূপায়ণ করছি। যিনি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন ও বীরপ্রতীক খেতাব অর্জন করেছেন।

তাহলে কী এটা তারামন বিবির বায়োপিক হতে যাচ্ছে?
তারামন এখানে প্রধান চরিত্র হলেও এটা বায়োপিক হচ্ছে না। মূলত, যুদ্ধে নারীদের অংশগ্রহণ দেখানো হবে ছবিটিতে।

ওটিটিতেও নিয়মিত কাজ করছেন। মাধ্যমটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা ও পরিকল্পনা কী?
আমার কাছে আসলে মাধ্যম কোনো বিষয় না। আমি সব মাধ্যমেই কাজ করতে চাই। বলতে পারেন, ভালো অভিনেত্রী হতে চাই। আর প্রত্যাশা নিয়ে বলবো, ওটিটি সবে যাত্রা শুরু করেছে। যদি মাধ্যমটি অবস্থান তৈরি করতে পারে তবে শিল্পী-কলাকুশলীদের কাজের নতুন একটি ক্ষেত্র তৈরি হবে। আমরা ভালো কাজ উপহার দিতে পারলে ওটিটি অনেক বড় প্লাটফর্ম হতে পারবে।

কিন্তু ওটিটিতে থ্রিলারধর্মী কাজ বেশি হচ্ছে। এতে দর্শকদের মাঝে একঘেঁয়েমি তৈরি হবে বলে মনে করছেন না?
একই ধরনের কাজ হলে অবশ্যই একঘেঁমি তৈরি হবে। আমার মনে হয়, একটি প্লাটফর্মে সব ধরনের কাজই থাকা উচিত। কারণ দর্শকদের রুচি কিন্তু একেক ধরনের। তাই ওটিটিতে দর্শক ধরে রাখতে হলে গল্পে ভিন্নতা থাকতে হবে।

ইদানিং হলের পাশাপাশি ওটিটিতেও ছবি মুক্তির চর্চা শুরু হয়েছে। এটা চলচ্চিত্র সংকট নিরসনে কতটা সহায়ক হবে?
নিশ্চয় এটা অনেক ভালো একটি চর্চা। তবে আগে হলে মুক্তি দিয়ে পরে বা পাশাপাশি ওটিটিতে মুক্তি দিতে হবে। কারণ হলের আমেজ তো আর ওটিটিতে পাওয়া যাবে না। দুই মাধ্যমে মুক্তি দিলে হল বাঁচার পাশাপাশি লগ্নি উঠে আসারও একটি সম্ভাবনা থাকবে।

নতুন ছবি হলে ফিরলেও দর্শক টানতে পারেনি। এমন অবস্থা কেন তৈরি হচ্ছে?
প্রথমত, হলেও পরিবেশ ভালো নেই। সিনেপ্লেক্সের সংখ্যা খুবই কম। দ্বিতীয়ত, ভালো ছবি হয়তো কম হচ্ছে। আবার ছবি ভালো হলেও প্রচার-প্রচারণা হয়তো অনেক কম হচ্ছে। ফলে দর্শকদের কাছে ছবিটি পৌঁছাচ্ছে না। দর্শক আগ্রহ না বাড়াতে পারলে তারা কীভাবে হলে আসবে!

Place your advertisement here
Place your advertisement here