• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

যেভাবে উদ্ধার হলো সেই ২৩ নাবিক

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ৩১ দিন পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হলেন বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহর’ ২৩ নাবিক। 

মুক্তিপণ ৩ বস্তা ডলার

শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুক্তিপণের ডলার ভর্তি ৩টি ব্যাগ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত করা হয়।

মুক্তিপণ হিসেবে ডলারভর্তি ৩টি বস্তা পাওয়ার পর বিকেল ৪টায় ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ত্যাগ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। মুক্তিপণ পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েই জলদস্যুরা নাবিকদের ছেড়ে দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মুক্তিপণ হিসেবে কত ডলার দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করে কিছুই জানায়নি কবির গ্রুপ।

জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছে কেএসআরএম গ্রুপ

দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ঈদের আগেই জাহাজটির মালিকপক্ষ নানা পর্যায়ে দর-কষাকষির পর দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর আভাস দিয়েছিল।

২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হয়। ঐ সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এদিক থেকে এবার বেশ দ্রুতই মুক্তিপণের আলোচনা হয়।

কেএসআরএম গ্রুপের ডিপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু এর সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা হয়।

অবশেষে

‘এমভি আব্দুল্লাহর’ ২৩ নাবিক দুবাই থেকে বিমানে দেশে ফিরবেন। সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফিরবেন স্বজনদের কাছে। মুক্ত হয়ে মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’।

Place your advertisement here
Place your advertisement here