• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

আন্তর্জাতিক চাপে মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা: নৌপ্রতিমন্ত্রী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

 
নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। আন্তর্জাতিক চাপ ও আলোচনার মাধ্যমেই বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক মুক্ত হয়েছেন। রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ কথা বলেন তিনি।


৩১ দিন পর সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন বাংলাদেশি নাবিকরা। গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক।


নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, টাকা-পয়সা কিংবা মুক্তিপণের সঙ্গে আমাদের কোনো ইনভলমেন্ট নাই। টাকা দিয়ে জাহাজ ছাড়িয়ে আনা হয়েছে, এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখাচ্ছেন, এসব ছবির সত্যতা নেই। ছবিগুলো কোথা থেকে আসছে, কীভাবে আসছে জানি না।


তিনি আরো বলেন, এটা যতটুকু হয়েছে আমাদের ডিপার্টমেন্ট অব শিপিং, ইউরোপিয়ান নেভাল, ভারতীয় নৌ-বাহিনী, সোমালিয়ান পুলিশসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায়। আমি সোমালিয়া পান্টল্যান্ড পুলিশকে ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা সার্বক্ষণিক আমাদের সহযোগিতা করেছে। আন্তর্জাতিক মেরিটাইমের উইংগুলো আমাদের অনেক সহায়তা করেছে।


মুক্তিপণের বিষয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করেছি দীর্ঘদিন। এখানে মুক্তিপণের কোনো বিষয় নেই। আমাদের আলাপ-আলোচনা এবং বিভিন্ন ধরনের চাপ আছে। সেই চাপগুলোও এখানে কাজে দিয়েছে। জলদস্যুরা ভীষণ চাপের মধ্যে ছিল, সোমালিয়ান পুলিশের বিরাট একটা চাপ ছিল। জলদস্যুরা দেশের ইমেজ নষ্ট করছে, এটা সোমালিয়ান পুলিশ উপলব্ধি করেছে, সেই উপলব্ধি থেকেই তারা সজাগ ছিল। জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য তাদের অনেক তৎপরতা ছিল।


নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, সোমালিয়ান পুলিশ যখন জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেয় তখন সেখানে মাত্র ২০ জন জলদস্যু ছিল। অথচ আগেরদিন জাহাজে প্রায় ৬৫ জন জলদস্যু অবস্থান নিয়েছিল। মূল ভূখণ্ড থেকে তাদের ওপর প্রচুর চাপ প্রয়োগ করা হয়। এ কারণে তারা একসঙ্গে জাহাজ থেকে চলে গেছে। দুই নটিক্যাল মাইলের মধ্যে তাদের ঘিরে ফেলা হয়েছিল। তারা যখন চলে যায় সেই মুহূর্তে অন্যান্য বাহিনী অবস্থান করছিল।


এটা একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, যতগুলো মেইল করেছি সেগুলো এক জায়গায় করলে বড় একটা বাস্কেট ভরে যাবে। প্রতি মুহূর্তে আমাদের করেসপন্ডেন্ট রাখতে হয়েছে। আমরা সিরিয়াস ছিলাম এটা সবাই উপলব্ধি করেছে।


ভবিষ্যতে যেন এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে সেজন্য সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর পদক্ষেপ নেবে বলেও জানিয়েছেন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

Place your advertisement here
Place your advertisement here