• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

পিতার মতোই তিনিও গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ।  এ উপলক্ষে বিশেষ বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। 

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে তাকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, পিতার মতোই শেখ হাসিনা গণমানুষের নেতা। খবর বাসস।

শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, গতিশীল নেতৃত্ব, মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে তিনি শুধু দেশেই নন, বহির্বিশ্বেও অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমি শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, সুখ-সমৃদ্ধি ও অব্যাহত কল্যাণ কামনা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ চলার পথ সফল হোক, সার্থক হোক।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পেয়েছে স্বাধীনতা আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার পথে, বাণীতে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে মধুমতি বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায়; বাঙালির চিরায়ত গ্রামীণ পরিবেশে, দাদা-দাদির কোলে-পিঠে। শিক্ষাজীবন শুরু গাঁয়ের পাঠশালায়। ১৯৫৬ সালে ভর্তি হন রাজধানীর টিকাটুলীতে তৎকালীন নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে। ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন বকশিবাজারের বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে, যার পূর্বতন নাম ছিল ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ। এখানে অধ্যয়নকালে তিনি কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। একই বছর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যার পরিচয় হয় রাজনীতির সঙ্গে; স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে চলে সরব পদচারণা। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সর্ববৃহৎ ছাত্র

সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে

বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শেখ হাসিনা। বিয়ের কিছু দিন পর শুরু হয় বাঙালি জাতির ১১ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। শেখ হাসিনা এসব ইসু্যুতে ছাত্রনেতা হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে শুরু করেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই গৃহবন্দি থাকাবস্থায় শেখ হাসিনার পুত্রসন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় জন্মগ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধে মহান বিজয় অর্জনের পর ১৭ ডিসেম্বর পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তিনি মুক্ত হন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর তার কন্যাসন্তান সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্ম। জয় ও পুতুল এখন নিজ নিজ গুণে ও যোগ্যতার বদৌলতেই সমাজে পরিচিত ও আদৃত।

১৯৭৩ সালে শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। এ সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ইডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক কাউন্সিল অধিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ডাক আসে দেশমাতৃকার হাল ধরার। অনেক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। এরও ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের মধ্য দিয়ে প্রথম তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তিনবার ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। অন্তত ২০ বার হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের এ সভাপতিকে। এতেও তাকে দমানো যায়নি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার; জাতির জনক হত্যার বিচারের মতো ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দেশে চলমান অভিযান এসবের সঙ্গে তার জিরো টলারেন্স নীতিরই বহির্প্রকাশ। দেশের অর্থনীতিতে উন্নয়নও তার হাত ধরেই চলছে। শান্তি, গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনা ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পদকে-পুরস্কারে।

বিশ্বব্যাপী উন্নত দেশগুলো যখন করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দিশেহারা, তখন বাংলাদেশকে এর সঙ্গে বন্যাও মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এই দুই দুর্যোগের বিরুদ্ধে সরকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে; এতে সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সাহসী ও দূরদর্শী ভূমিকায় করোনা মহামারীর মধ্যেও সচল দেশের অর্থনীতির চাকা।

করোনা সংক্রমণের পর বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী কর্মহীন হয়ে যাবে, না খেয়ে মারা যাবে- কেউ কেউ এমন আশঙ্কা প্রকাশ করলেও বাস্তবে তা ঘটেনি। প্রায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে প্রণোদনার আওতায় আনতে সচেষ্ট সরকার। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ে যেভাবে ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা নিতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সাময়িকী ফোর্বসের প্রতিবেদনেও এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের যে কয়েকটি দেশ করোনার লাগাম টেনে ধরতে পেরেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা এখনো কার্যকর করতে পারেনি খোদ যুক্তরাজ্যও।

ম্যাগাজিনটির তথ্য, প্রায় ১৬ কোটিরও বেশি মানুষ অধ্যুষিত বাংলাদেশে দুর্যোগ নতুন কিছু নয়। করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি শেখ হাসিনা। ত্বরিত এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (উই ফোরাম) পুরো বিষয়টিকে ‘প্রশংসনীয়’ বলে উল্লেখ করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বলার অপেক্ষা রাখে না, করোনা ভাইরাস বিশ্বজুড়ে মহামারী রূপে ধারণ করলেও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা। করোনা পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে ১৮ মার্চ দেশের সব প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তখন এমন সিদ্ধান্ত না নিলে আজ হয়তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও করোনা ভাইরাস ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ত। তার সিদ্ধান্তেই সংকট মোকাবিলায় তড়িৎগতিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৪ জন নার্স। যাদের দেশের কোভিট-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে পদায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩৯তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে দুই হাজার চিকিৎসককেও সহকারী সার্জন হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

দক্ষিণ এশিয়ায় যে চারটি বড় দেশ সফলভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করছে, এর মধ্যে শ্রীলংকার পরেই বাংলাদেশ। প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানে করোনায় মৃত্যুর হার এখনো বেড়েই চলেছে। কিন্তু বাংলাদেশে মৃত্যুহার পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনাতেই কম। এটা শেখ হাসিনার সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস আমহার্স্টের অধ্যাপক দীপঙ্কর বসু ও প্রিয়াঙ্কা শ্রীবাস্তব এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, বাংলাদেশে মৃত্যুহার শুরুতে বেশি হলেও মাসখানেকের মধ্যে সরকার সেটিকে দুই শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। সেদিক থেকে ভারত-পাকিস্তানের অবস্থা বেশ শোচনীয়। আক্রান্তে প্রায় একই হারে এগিয়ে চলা দেশ দুটির মৃত্যুহার সাড়ে তিন শতাংশেরও বেশি।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান অধ্যাপকদ্বয় বলছেন, নানা কারণেই বাংলাদেশ-ভারতের সাফল্যের ছবি আমেরিকা ও ইউরোপের সঙ্গে তুলনীয় নয়। বরং সঠিক তুলনা হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর পরিস্থিতির সঙ্গে। সে বিবেচনায় বাংলাদেশ ভালো আছে, তুলানামূলক উন্নতি করছে।

লেখক-বুদ্ধিজীবী সৈয়দ আবুল মকসুদ দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিকে স্বাগত জানিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা রয়েছে। তিনি বলেন, তবে আগে থেকেই যাতে এ ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করা যায়, সে বিষয়ে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্রিয় হওয়া উচিত। তাদের নজরদারি আরও কঠোর হওয়া দরকার।

গত শনিবার জাতিসংঘে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর তথ্য অনুসারে, দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমরা প্রতিবছর প্রায় ৩৯ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করা হয়। এ ছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাদের জন্য ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং সমাজের অনগ্রসর শ্রেণিসহ অন্যদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ও ভাতার প্রচলনের মাধ্যমে প্রায় ৯.১ মিলিয়ন পরিবার উপকৃত হচ্ছে। কোভিড-১৯ বিস্তারের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়। এতে ১০ মিলিয়নের বেশি পরিবার উপকৃত হয়েছেন। ৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গ্রাম পর্যায়ের প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি কিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়।

সরকারি সহায়তার পাশাপাশি আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে তহবিল সংগ্রহ করে এতিম ও গরিব শিক্ষার্থী, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, স্কুলশিক্ষক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ যারা সাধারণভাবে সরকারি সহায়তার আওতাভুক্ত নন, তাদের মধ্যে ২.৫ বিলিয়নের বেশি টাকা বিতরণ হয়। যার ফলে সাধারণ মানুষকে করোনা ভাইরাস খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আর্থিক খাতের আশু সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে আমরা ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করি। রপ্তানিমুখী শিল্প, শ্রমিকদের সুরক্ষা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ওয়ার্কিং ক্যাপিট্যাল প্রদান, রপ্তানি বৃদ্ধিতে ঋণ প্রদান, কৃষি ও কৃষকদের সহায়তা, কর্মসৃজনের জন্য ঋণ প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুদ মওকুফ, পুনঃঅর্থায়ন স্কিম এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বীমা চালুকরণ ইত্যাদি খাত প্রণোদনার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা মোট ১৩.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি, যা আমাদের মোট জিডিপির ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

কোভিড ১৯-এর কারণে বিশ্বব্যাপী উৎপাদনে স্থবিরতা সত্ত্বে¡ও আমাদের ৫.২৪ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আগামী অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আমরা আশাবাদী।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ, বিশ্ব শিগগিরই কোভিড ১৯-এর ভ্যাকসিন পাবে। তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। সকল দেশ যাতে এই ভ্যাকসিন সময়মতো এবং একই সঙ্গে পায়, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ১ কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনায় আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করছেন।

শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক করতে করণীয় যুক্তরাজ্যের নেতৃস্থানীয় দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় একটি নিবন্ধ লিখেছেন। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ মহামারী থেকে উদ্ভূত সংকট কার্যকরভাবে মোকাবিলার জন্য ঐক্যবদ্ধ বৈশ্বিক কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here