• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

রংপুরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শঠি ফুল         

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

অযত্ন আর অবহেলায় জন্ম নেয়া শঠি ফুল অপার সৌন্দর্য মেলে ধরেছে। কষ্ট কষ্টসহিষ্ণ গ্রীষ্মের ফুল এটি। গ্রামবাংলার পথে-ঘাটে এই ফুলের দেখা মিলে। এর সৌন্দর্য সকলকে কাছে টানে। 

জানা গেছে, কন্দের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে এই গাছ। শঠি যেখানে জন্ম নেয় সেখানে ঝোপালো আকার ধারণ করে। একবার কন্দ থেকে চারাগাছ জন্ম নিলে চারা ও গাছের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। শঠি ফুলগাছ বেশ কষ্টসহিষ্ণু। রোগ ও পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে। উঁচু থেকে মাঝারি উঁচু ভূমি ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে শঠিগাছ জন্মে। অনুর্বর আর্দ্র, স্যাঁতসেঁতে ও হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে ভালো হয়। 
এক সময় শঠিগাছের পাতা গ্রামীণ জনপদে নানান কাজে ব্যবহার হতো। হাট কিংবা বাজার থেকে লবণ, গুড়, মাছ, শুঁটকি মাছসহ বিভিন্ন পণ্য কেনা হলে বিক্রেতারা ক্রেতাদের শঠি পাতায় তা বেঁধে দিত। শঠির সেই ঐতিহ্য না থাকলেও সৌন্দর্যের কোন ঘাটতি হয়নি এখনও। 

রংপুরের বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রের ইনচার্জ কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না বলেন, অঞ্চলভেদে শঠি, শটি, বনহলুদ, জংলি হলুদ, হুইড ইত্যাদি নামে পরিচিত। গাছ উচ্চতায় গড়ে ৩ থেকে ৪ ফুট হয়। পাতা বেশ বড়। রং সবুজ, অগ্রভাগ সূচালো, মধ্যশিরা স্পষ্ট। তবে পাতার অগ্রভাগের উপরিঅংশ কিছুটা লালচে রঙের। গাছ দেখতে প্রায় হলুদ গাছের মতো। তবে শঠির কন্দমূল সাদা আর হলুদের কন্দমূল হলুদ। হলুদের পাতা চওড়ায় কম, শঠির পাতা চওড়ায় বেশি। শঠিগাছের জীবনকাল ৭-৮ মাস। ফুটন্ত ফুল লাল, গোলাপি-লাল, বেগুনি ও হলুদ আভায় মিশ্রিত তাই সকলের নজর কাড়ে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here