• শনিবার ১১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৮ ১৪৩১

  • || ০২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

ক্ষেতে দুলছে স্বপ্নের সোনালী ধান, হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৯  

Find us in facebook

Find us in facebook

গাইবান্ধার বিভিন্ন অঞ্চলে আমন ফসলের ক্ষেতগুলো এখন নজর কাড়ছে সোনালী রংয়ের সমারোহে। ফলে এবার আমন ধানের ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা কৃষকদের। হেমন্তের ভরা যৌবনে শিশির ভেজা বাতাসে ক্ষেতে দুলছে স্বপ্নের সোনালী ধান। আর এই দৃশ্য দেখে মুখে হাসি ফুটেছে কৃষকদের। আসছে অগ্রহায়ণের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই ফসল কাটা মাড়াই শুরু হবে।

জানা গেছে, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় এবছর গাইবান্ধা জেলার সবকটি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় জমিতে আমন ধান লাগান। কৃষকের সেই আমন ক্ষেতে এখন সোনালীর সমারোহে ভরে উঠেছে।

গাইবান্ধার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নজর কাড়ছে আমন ক্ষেত। ভোরের শিশির ভেজা ধানের শীষগুলো অপরূপ শোভা ছড়িয়ে দুলছে। চলতি আমন মৌসুমে আশানুরূপ ফলনের সম্ভাবনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক।

পলাশবাড়ী এলাকার কৃষক মেনহাজ আলী জানান, এবছর চারা রোপণের সময় পানি সংকট থাকলেও পরবর্তীতে বৃষ্টির পানিতে ধানের শীষ এখন ভালো রয়েছে। তবে কয়েকদিন আগে টানা বৃষ্টিপাতের কারণের ধান গাছ হেলে পড়ে অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সাহেব উদ্দিন ব্যাপারী জানান, গেল বন্যায় সবকিছু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমনের চাষ করেছেন। আশানুরূপ ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন বাজারে ভালো দাম পেলে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন তিনি।

গাইবান্ধা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গেল বন্যায় গাইবান্ধার ৭ উপজেলার সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা চলতি আমন মৌসুমে প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ করেছেন।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. এসএম ফেরদৌস বলেন, ‘গেল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আমন চারা বিতরণ করাসহ নানান ধরনের কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়েছে। তাদের রোপণ করা আমন ক্ষেতে গিয়ে সার্বিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

Place your advertisement here
Place your advertisement here