‘বঙ্গবন্ধু’: এক অতিমানবীয় সম্মোহনী ব্যক্তিত্বের প্রবাদ পুরুষ
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২ আগস্ট ২০২৩
![Find us in facebook Find us in facebook](https://www.dainikrangpur.com/media/imgAll/2023August/62a326933a52c-2308020632.jpg)
Find us in facebook
এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার
প্রায় ১৪ বছরের জেল জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে আর মাত্র ২৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনযাত্রায় সারা পৃথিবীর শোষিত-বঞ্চিত,অসহায়, নিপীড়িত, নির্যাতিত স্বাধীনতাকামী মানুষের আবেগ অনুভূতি আর বিপ্লবী চেতনাকে নিজের অন্তরে ধারণ করে শত্রুপক্ষের মৃত্যুগহ্বরে বসে থেকে নিজের জাতিকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মান অর্জন করিয়ে মাত্র ৯ মাসের আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধের কৌশল অবলম্বন করে একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রের জন্ম দেয়ার বিরল ইতিহাস বঙ্গবন্ধু ব্যতীত আর কোনও বিশ্বনেতাদের নেই। সেই সাথে, সময়ের সেরা পাকিস্তানের পদাতিক বাহিনীর যোদ্ধা পরিচয়ের কলঙ্কিত অধ্যায় রচিত হয়েছিল পৃথিবীর যুদ্ধের ইতিহাসে প্রথম লিখিত আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে। সারা বিশ্বের রাজধানীশহর আর ক্যান্টনমেন্টগুলো প্রকম্পিত হয়েছিল ১৬'ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক দিনটিতে। মুহূর্তের মধ্যে সারা পৃথিবীর আকাশে এমনতর বৈদ্যুতিক চমক, মহাকালের জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত দ্বিতীয়বার ঘটেনি। যে তরঙ্গের আলোক শক্তি চুম্বক শক্তিতে পরিণত হয়েছিল সারাবিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের চেতনায় যা প্রেষণার উৎস হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের জাতীয়তাবাদী যুদ্ধের অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছিল।
১৬'ই ডিসেম্বর ১৯৭১ পরিস্থিতি বিবেচনায় সে সময়টা এমন ছিল যে, বঙ্গবন্ধুর নামটি উচ্চারিত হওয়ার সাথে সাথে সচেতন কিংবা অবচেতনভাবে প্রথম বিশ্বের নেতৃস্থানীয়রা সবাই দাঁড়িয়ে পড়তেন যেমনটা আমরা লক্ষ্য করে থাকি জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন কালে স্বভাবজাত ভাবেই মানুষ উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান করে। তেমনি করে, বঙ্গবন্ধুর নাম শ্রবণে সেসময় বিশ্বনেতাদের সামনে যেন তাদের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়েছে তাই হকচকিত হয়ে নিজের চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে পড়তেন সকলেই। ব্যক্তিত্বের এতটা সম্মোহনী শক্তি নিয়ে পৃথিবীতে আর একজন রাজনৈতিক মানুষের আগমন হয়েছে সেই ইতিহাস আমাদের জানা নেই।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কোনও অধিবেশনে দারিদ্রতা বিমোচনের প্রয়োজনে কোনও নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা করতেন না বঙ্গবন্ধু। স্পষ্ট কথাটি বলার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন এক অবিস্মরণীয় ভাবমূর্তি। ওষুধ নির্মাণের মেধাসত্বকে অস্বীকার করে তিনি অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে নিজের জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করে জাতিসংঘের উন্নত দেশগুলোকে উপলব্ধি করাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, আমার দেশ দারিদ্রতার কষাঘাতে পেটের অন্ন জোগাতে যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন তাদের চিকিৎসা ব্যয় এর জন্য উচ্চমূল্যে তোমাদের কাছ থেকে ওষুধ কেনার সামর্থ্য আমাদের নেই।
কাজেই আমার দেশ তার সামর্থ্য অনুযায়ী ওষুধ উৎপাদন করবে। এমন বক্তব্য উপস্থাপনের পর পরই বিশ্বের হতদরিদ্র দেশগুলোর নেতারা সবাই এসে বঙ্গবন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর এই বক্তব্যকে সমর্থন করেন। যার ফলশ্রুতিতে আজকের বাংলাদেশ নিজেরা ওষুধ উৎপাদন শুরু করেছিল এবং বিশ্বের ৬৭ টি দেশে আজ ওষুধ রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বের জ্যোতির্ময় প্রখরতা এতটাই উচ্চমার্গীয় ছিল যে, উন্নত বিশ্বের নেতারাও তখন এমন প্রসঙ্গগুলোর বিরোধীতা করতে রীতিমতো চমকে উঠতেন। বঙ্গবন্ধুর অতিমানবীয় ব্যক্তিত্বের প্রাসঙ্গিক একটি আলোচনায় বর্তমান দুই বাংলার সঙ্গীতাঙ্গনের অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ কবীর সুমনের ( সুমন চট্টোপাধ্যায়) একটি সাক্ষাৎকার থেকে আমরা খানিকটা মিলিয়ে নিতে পারি।
২০১৮ সালে সময় সংবাদের কলকাতার প্রতিনিধি সুব্রত আচার্যের নেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন-
"বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমারও নেতা। আমি কিন্তু ভারতের নাগরিক হিসেবেই এটা বলছি। উনি কিন্তু শুধুমাত্র বাংলাদেশের নেতা নন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর যখন তিনি ছাড়া পেলেন, পরে যেদিন কলকাতা বিমানবন্দরে তার বিমান নামল, সেদিন বিমানবন্দর থেকে রেডিওতে প্রচারিত হচ্ছিল তার বক্তব্য।তিনি যখন বললেন- "আমি শেখ মুজিবুর রহমান বলছি " তখন আমি ও আমার বাবা মা তিনজনই শুনছিলাম এবং ঐ মুহুর্তে দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম। ওনাকে কখনও সরাসরি চোখে দেখিনি। তিনি আজও আমার নেতা।একবার যদি তাকে দেখতে পেতাম! ৭'ই মার্চের যে ভাষণ,সেটা আমার জাতির ভাষণ। শুনেছি হাজার বছরের জাতি আমাদের। এটি ছিল আমাদের বাঙালিজাতির প্রথম স্বাধীনতার উচ্চারণ। আমার গর্ব, আমার আত্মপরিচয়, আমার জাতীয় পরিচয় ঐখানে। এই ব্যাপারে আমি আপোষহীন। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জায়গাটা আমাদের গর্বের বিষয়।
এই যে আমি গান করি, সেটাও কিন্তু তারই একটা প্রভাব। আমিও বঙ্গবন্ধুর মত ওভাবে একা উঠে দাঁড়িয়ে একদিন একটা গান করব, বুক চিতিয়ে বাংলা গান গাইব, যা আমি কোনওদিন দেখিনি গ্রামের বাইরে। আবদুল আলিম গাইতেন নির্মলেন্দু চৌধুরীর কথায়, গিরীণ চক্রবর্তী ওভাবে বুক চিতিয়ে গেয়ে গেছেন- 'তোরা সব জয়ধ্বণী কর'। আজকালকার প্রজন্ম মিনমিনে কন্ঠে গান করে। বঙ্গবন্ধু মিনমিনে লোকের নেতা নন। তিনি একটা লড়াকু জাতির নেতা। যে জাতি শান্তি ভালোবাসে, শান্ত থাকতে জানে, আবার লড়তেও জানে। আমার কাছে বঙ্গবন্ধুর এটাই পরিচয়। আমি রাজনীতির মানুষ নই, তাই তার রাজনৈতিক বিষয়ে কিছু বলতেও পারি না। কিন্তু, আমি ঐটুকু জানি আমরা তিনজন মানুষ সেদিন দাঁড়িয়ে উঠেছিলাম কাঁদতে কাঁদতে। আমি ও আমার বড়ভাই ভেবেছিলাম তখন বাংলাদেশ চলে যাব শুধুমাত্র সেই একটি ভাষনের জোরে। "
হৃদয়ের গহিনে ধারন না করলে কাউকে নিয়ে এভাবে বলা যায় না। বঙ্গবন্ধু প্রকৃতই সেই একটি মাত্র মানুষ, যার অতিমানবীয় সন্মোহনী শক্তির বিস্তার একটি রাষ্ট্রের ভৌগলিক সীমারেখাকে নির্দ্বিধায় অতিক্রম করে অনায়াসে ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র বিশ্বে। পৃথিবীর তৎকালীন ও তৎপরবর্তী প্রায় সকল প্রান্তের অনুসরনযোগ্য বিশ্বনেতাগণ এবং অন্যান্য বহু অঙ্গনের সুপ্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবীরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন আবেগ বারবার প্রকাশ করে গেছেন।
পৃথিবীর যে কোনও সীমানায় বাস করা প্রতিটি বাঙালির জাতিয়তাবাদী চেতনার কেন্দ্রবিন্দু তিনি। তিনিই অবিভক্ত বাঙালিজাতীসত্ত্বার প্রকৃত আত্মপরিচয়। সমাজের যে কোনও পেশার, যে কোনও পরিচয়ের প্রত্যেক মানুষের কাছেই বঙ্গবন্ধু চিরকালীন অজেয় সত্ত্বার এক অবিকল্প প্রতিরূপ। যোগ্যতায়, নেতৃত্বে, বিপ্লবে, মননে, আদর্শে, চেতনায়, উদারতায় ও সাফল্যে তিনি পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসের এমন একটি নক্ষত্র, যার প্রকাশে সভ্যতার স্মরণকালের প্রায় সমস্ত সুপ্রতিষ্ঠিত বিশ্বনেতৃবৃন্দের সকল জাগতিক মহিমা নিষ্প্রভ হয়ে যায়।
লেখক: পুলিশ সুপার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
- ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত
- সরকার কোটা সংস্কারের পক্ষেঃ আলোচনায় বসবে সরকার
- শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান
- পরিস্থিতি বুঝে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে: পলক
- মেসির ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে চাকরিচ্যুত দেশটির ক্রীড়া কর্মকর্তা
- সরকারের বিভিন্ন বিভাগে নিচের গ্রেডে জনবল ঘাটতি, শীর্ষে অতিরিক্ত
- শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- উর্বশীর ফাঁস হওয়া ভিডিও ক্লিপ নিয়ে আলোচনা
- রাজধানীসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- চিরকুট লিখে প্রাণ দিলেন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থী
- গাজায় যুদ্ধের সব নিয়ম ভেঙেছে ইসরায়েল, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮১
- কমপ্লিট শাটডাউন সম্পর্কিত বিবৃতিপত্রটি ভুয়া
- বন্ধ ঘোষণার পর হল ছাড়ছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
- ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র!
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯২৪১ শিক্ষার্থী
- রাসূলুল্লাহ (সা.) আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে যা বলেছেন
- কুড়িগ্রামে বানের পানিতে ভেসে গেছে ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার মাছ
- বৃহস্পতিবার ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের ডাক
- ঘোড়াঘাটে কবর থেকে চুরি হওয়া হাড়গোড় উদ্ধার, আটক ৩
- হচ্ছে কর্মসংস্থান, কমছে পরিবেশ দূষণ
- রাতে ঘাম বাড়ে? যে রোগের পূর্বলক্ষণ
- ঠাকুরগাঁওয়ে মসজিদের উন্নয়ন কাজে বরাদ্দ
- বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন
- শোকের মাতমে শেষ হলো তাজিয়া মিছিল
- ব্যস্ততায় পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন যেভাবে
- হল ছাড়ছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ
- জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
- যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে রাজাকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন
- জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- কমপ্লিট শাটডাউন সম্পর্কিত বিবৃতিপত্রটি ভুয়া
- ভূরুঙ্গামারীতে নেশার টাকা না পেয়ে যুবকের আত্মহত্যা
- গার্লস স্কুলের ছাত্রী মিতা মারা যাওয়ার সংবাদটি মিথ্যা
- হাঁড়িভাঙা আম সংরক্ষণে দেশের প্রথম বিশেষায়িত হিমাগার হবে রংপুরে
- রাসেলস ভাইপার নিয়ে ‘আতঙ্ক’ নয়, প্রয়োজন সতর্কতা
- কাউনিয়ায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপরে
- দিনাজপুরে সড়কে ঝরল মা-ছেলেসহ ৩ জনের প্রাণ
- চামড়াশিল্পে সিন্ডিকেট, অপতৎপরতা রোধে করণীয়
- রাসেলস ভাইপার থেকে বাঁচার দোয়া
- এবারের ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে: পুলিশ
- আফগানিস্তানকে হারিয়ে সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- ভালো শুরুর পর তামিমের বিদায়
- ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট হবে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
- ডিমলায় জুয়ার আসর থেকে ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ১১
- পীরগঞ্জে নারীর অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার
- সংলাপের মাধ্যমে বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর করার আহ্বান
- তিস্তার পানি কমছে, বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
- পঞ্চগড়ে এসএসসি ২০০০ ব্যাচের মিলন মেলা
- তিস্তাপাড়ের ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি
- বৃটিশ রানির ‘গুপ্তচর বাহিনী’, রহস্যের জট খুললো ৪২৮ বছর পর