• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

রংপুরে ১৫ বছরে বিদেশগামী ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রংপুর জেলার ৮ উপজেলা থেকে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে ৩৩ হাজার ১০৪ জন। যা সারাদেশের তুলনায় শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ। এ সময় গোটা দেশ থেকে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে ৯৫ লাখ ৬২ হাজার ৭১৬ জন। এর মধ্যে সব চেয়ে এগিয়ে আছে কুমিল্লা জেলা। এ জেলা থেকে বিদেশে গেছেন ৯ লাখ ৮৪ হাজার ২২৯ জন। যার আনুপাতিক হার ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ।

আগে রংপুর থেকে বিদেশগামী অভিবাসীর সংখ্যা ছিল একেবারেই নগণ্য। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ে সুবাদে এখন রংপুর জেলা থেকে প্রবাসীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জেলার মধ্যে মিঠাপুকুর উপজেলা প্রবাসীর দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। আর পিছিয়ে রয়েছে তারাগঞ্জ উপজেলা।


প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান অধিদফতর সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রংপুর জেলায় বেড়েছে প্রবাসীর সংখ্যা। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের অভাবে অনেকেই প্রবাস জীবন বেছে নিচ্ছে।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সার্ভরের তথ্য অনুযায়ী জেলায় প্রবাসীর সংখ্যা ৪২ হাজার ২১ জন। এর মধ্যে রংপুর সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলা মিলে রয়েছে ৭ হাজার ১৭ জন, কাউনিয়ায় ২ হাজার ২১৮ জন, বদরগঞ্জে ১ হাজার ৬১ জন, পীরগঞ্জে ১ হাজার ৭২৪ জন, মিঠাপুকুরে ৮ হাজার ৫৭৯ জন, তারাগঞ্জে ১ হাজার ৮১ জন, পীরগাছায় ৬ হাজার ২৫৯ জন ও গংগাচড়া উপজেলায় ৩ হাজার ৭৩৯ জন। এর মধ্যে মিঠাপুকুর প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পীরগাছা উপজেলা। তবে পিছিয়ে রয়েছে তারাগঞ্জ উপজেলা।


জানা গেছে- সৌদি আরব, কাতার, ওমান, জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিংঙ্গাপুরে অভিবাসীরা অবস্থান করছেন। এর মধ্যে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি।


রংপুর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরে আসা, চুক্তিপত্র অনুযায়ী কাজ ও বেতন না পাওয়া, কাজের আকামা না করে যাওয়া এবং কারাগারে আটক কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে আনার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৩০ অভিবাসীর অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছেন।


অন্যদিকে, ২০০৯ সালে থেকে ১৫ বছরে রংপুর জেলার ৩৭৫ জন প্রবাসীর মারা যান। তাদের প্রত্যেকে তিন লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়। যার পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৭ টাকা। ২০১৬ সাল থেকে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত  বিদেশগামী কর্মীদের রেজিস্ট্রেশন ও ফিঙ্গার প্রিন্ট করা হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ২১৫ জনের। এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে ৪৮ হাজার ৮৫৩ জন ও ফিঙ্গার প্রিন্ট ৫২ হাজার ৩৬২ জন।


রংপুর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের পক্ষ থেকে বিদেশগামীদের তিনদিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সোমবার ৫২ জনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ৩ হাজার ২৬৬ জন।


রংপুর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক আমেনা পারভীন বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগের ফলে রংপুর জেলায় অভিবাসনের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বিদেশগামীদের নিয়ম মেনে বৈধ পথে বিদেশ গমনের পরামর্শ দেন। এতে করে এ জেলার বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি পাবে ও আত্মসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।


তিনি আরো বলেন, ২০২৩ সালে রংপুর জেলা থেকে ৬ হাজার ৩৩৬ জন বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এর মধ্যে সৌদি আরবে ২ হাজার ৪০৮ জন, কাতারে ১২৭ জন, ওমানে ৩৬৬ জন, জর্ডানে ১৪৫ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৩০ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪৩ জন, সিংঙ্গাপুরে ২৩৬ জন, মালয়েশিয়ায় ২ হাজার ২০৪ জনসহ বিভিন্ন দেশে ২২৭ জন অভিবাসনকর্মী বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here