• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

Find us in facebook

‘মুসলিম দেশগুলোর ঐক্য ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কমাতে পারে’

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ মে ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের সব মুসলিম দেশ একসঙ্গে কাজ করলে ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবসহ মুসলিমদের জন্য আরো ভালো অবস্থানে পৌঁছানো সহজ হতো।

বুধবার রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘হজ কার্যক্রম ২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নিজেকে একমাত্র বোন (সরকার প্রধান) হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই কথা- সবাই এক হোন এবং এ ধরনের অন্যায় অবিচার যেন আমাদের ওপর না হয়, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন।

আন্তর্জাতিক যে ফোরামে কথা বলেছেন সেখানেই ফিলিস্তিনিদের জন্য তার কন্ঠ ‘সোচ্চার ছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি প্রতিটি জায়গায় এর প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। কারণ ফিলিস্তিনিরা আরব ভূখণ্ডে নিজেদের জায়গা পাবে, এটা তাদের অধিকার। এই অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারে না।

শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। নারী ও শিশুদেরও রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। তাদের জন্য, বাংলাদেশের জন্য ও সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য হজযাত্রীরা দোয়া করবেন।

হজযাত্রীদের কাছে দেশ ও জাতির জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, সরকার হাজিদের জন্য যে সুযোগ সুবিধা সংবলিত হজ ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছে, সেটা আরো উন্নত করবে সরকার। হজ ব্যবস্থাপনাকে আরো উন্নত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত হয়েছে। এক্ষেত্রে সৌদি সরকার সবসময় আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ক্রমান্বয়ে হজ ব্যবস্থাপনা আরো উন্নত করছে। এ কারণে আজ সবাই ভালোভাবে হজ করতে যেতে পারছেন। হজ ক্যাম্প থেকে একটি আন্ডারপাস করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে হজ ক্যাম্প, বিমানবন্দর এবং রেলস্টেশনের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপিত হবে। এখানে যাত্রী ও মালপত্র পরিবহনে এস্কেলেটর ও গলফ কার্ট থাকবে। সরকার সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করছে, সেখানে হাজিদের প্রশিক্ষণ, রেজিষ্ট্রেশনসহ সেবা প্রদানকারীদের জন্যও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সৌদি এয়ারলাইন্সের মতো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সেও আমরা হজযাত্রী আনা-নেয়া করতে পারি। হজযাত্রীদের মালামাল আনা-নেয়া বা জমজমের পানি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মক্কা-মদিনায় হজ অফিস স্থাপনসহ জেদ্দায় টার্মিনালের জায়গা ভাড়া নিয়ে আমাদের হাজিদের অবস্থানের ব্যবস্থাও করেছি। আমরা ক্ষমতায় আসার আগে হজযাত্রীদের এখানে-সেখানে ফুটপাতে বসে থাকতে হতো।

দেশবাসীর সহযোগিতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান, হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু আ হামিদ জমাদ্দার প্রমুখ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here