• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

Find us in facebook
সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রস্তুত হচ্ছে ছাপাখানা, কর্মীদের ব্যস্ততা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

নির্বাচন এলেই প্রেস পাড়ায় সৃষ্টি হয় উৎসবের আমেজ। চলে নানামুখী প্রচার-প্রচারণা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই খট-খট শব্দে ছাপা যন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসবে সাদা-কালো পোস্টার। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে গাইবান্ধা শহরের ছাপাখানাগুলো। অনেকেই মেশিন পরিষ্কারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি মেরামতের কাজ সেরে নিচ্ছেন। শহরের ছাপাখানাগুলোতে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।

শহরের প্রিন্টিং প্রেসে তেল ও পানি দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মেশিনের যন্ত্রাংশ। সঙ্গে কালার প্লেট বসানোর স্তরগুলোও তেল দিয়ে ঘষে রাখছেন মালিকরা। এতে করে সেখানে ময়লা পড়বে না। পাশাপাশি কাজের চাপ শুরু হলে সার্ভিসও ভালো পাওয়া যাবে এখান থেকে। এসব ছাপাখানাগুলোর কোথাও কোথাও কিনে রাখা হয়েছে স্টিল জাতীয় প্লেট। কোম্পানিগুলোতেও কাগজের অর্ডার দিয়ে রাখা হয়েছে। 

প্রতীক বরাদ্দ হলেই চাহিদা অনুসারে সেখান থেকে কাগজ এনে শুরু হবে পোস্টার ছাপানোর কাজ। এই কাগজগুলো সংগ্রহ করা হয় বগুড়া অথবা ঢাকা থেকে। গাইবান্ধায় কাগজ পাওয়া যায় কিন্তু দাম একটু বেশি। তবে বর্তমান সময়ে কাগজ, কালিসহ অন্য জিনিসের দাম বেড়েছে। দেড় বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। প্রতি রিম (৫০০ পিস) কাগজ বড় সাইজ (২৩ ইঞ্চি বাই ৩৬ ইঞ্চি) পুরুত্ব (পাতলা, মোটা) অনুসারে (৫৫ গ্রাম পুরুত্ব) দাম দুই হাজার ৩০০ টাকা, যা আগে ছিল এক হাজার তিনশো টাকা। এই কাগজ কিনে কাটিং মেশিনের সাহায্যে সাইজ করে তা দিয়ে পোস্টার ছাপানো হয়। কালি প্রতি পাউন্ড কোম্পানি ভেদে গত দেড় বছরে একশো থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়।

তবে প্রস্তুতির মাঝেও কোথাও কোথাও প্রার্থীদের থেকে টাকা না পাওয়ার শঙ্কা থাকায় অনাগ্রহও রয়েছে কোনো কোনো ছাপাখানা মালিকের। কয়েকটি ছাপাখানায় এখনও বকেয়া রয়েছে গত পৌরসভা নির্বাচনের পোস্টার ছাপানোর টাকা। তবে হয়রানির ভয়ে নাম প্রকাশ করেননি তারা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলায় ছাপাখানা রয়েছে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫টি।

কাগজ ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম জানান, একেতো ডলার সংকট, তার ওপর দাম বেশি। ফলে ডলার দিয়ে ঠিকমতো কাগজের কাঁচামাল কিনতে পারছে না কোম্পানিগুলো। এই কাঁচামাল কিনে সেগুলো রিফাইন করে কাগজ তৈরি করতে হয়। ফলে কাগজের দাম অনেক বেড়েছে। 

ঘাঘট প্রেসের মালিক আব্দুস সামাদ সরকার বাবু বলেন, কাগজ, কালিসহ ছাপা খানার অন্যান্য জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং প্রেসের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি হওয়ায় সব কিছুরই দাম বেড়েছে তাই প্রার্থীদের পোস্টার ছাপাতে অন্য বছরের তুলনায় এবার দাম বাড়বে। তবে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই জোরেশোরে শুরু হবে ছাপাখানার কাজ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here