• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ইউটিউব দেখে সাম্মাম চাষে সফল কৃষক

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

১৫ বছর ধরে কৃষির সঙ্গে জড়িত মুন্নাফ আলী মন্ডল। প্রতি বছর বিভিন্ন ফল চাষ করে থাকেন তিনি। এবার ইউটিউব দেখে সাম্মাম ফল চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে বিষয়টি সাড়া ফেলেছে জেলাজুড়ে।

মধ্যপ্রাচ্যে বেশ জনপ্রিয় ফল সাম্মাম, যা বাংলাদেশে রকমেলন নামেও পরিচিত। সাম্মাম বিদেশি ফল হলেও এখন বাংলাদেশেও এর চাষ হচ্ছে। মালচিং পদ্ধতিতে সাম্মাম চাষ করা হয়। চারা রোপণের ৬০ থেকে ৭০ দিনে এ ফল সংগ্রহ করা যায়।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মুন্নাফ আলী মন্ডল। উপজেলার তেঁতুলতলা এলাকায় ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের তিন বিঘা জমি লিজ নিয়ে সাম্মাম ফলটির চাষ শুরু করেছেন তিনি। ফলটি চাষে এক লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করে এরই মধ্যে আয় করেছেন দুই লক্ষাধিক টাকা। আরো দুই লক্ষাধিক টাকা আয়ের আশা করছেন তিনি।

কৃষক মুন্নাফ আলী জানান, ইউটিউবে ভিডিও দেখে সাম্মাম চাষ শুরু করেন তিনি। এর চাহিদা ও বাজার মূল্য ভালো থাকায় লাভের আশায় চাষ শুরু করেছেন। তিন বিঘা জমিতে চাষ করতে এক লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রথমে ঢাকার কারওয়ান বাজারে নিয়ে বিক্রি করেছেন। এখন ক্ষেত থেকেই পাইকাররা এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরো জানান, স্থানীয়ভাবে এ ফলের বাজার তৈরি হয়নি। তবে ঢাকার বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সাম্মামের সর্বনিম্ন ৫০০ গ্রাম থেকে চার কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয় বাজারে। তিনি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে ক্ষেত থেকে ফল বিক্রয় করেছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেওয়া তথ্যমতে, এ বছর ঠাকুরগাঁওয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সাম্মাম চাষ করা হচ্ছে। গত বছর সদর উপজেলার রাহুল রায় নামে এক কৃষক সর্ব প্রথম চাষ শুরু করেন। এবার জেলায় মোট দুই একর জমিতে সাম্মাম চাষ করা হয়েছে।

সাম্মাম ক্ষেত পরিদর্শন করা মাঠ পরিদর্শক দবিরুল ইসলাম বলেন, এটি বিদেশি ফল। এই ফলের চাহিদা ঢাকায় খুব বেশি। আমাদের কৃষক এই ফল চাষ করে ফলন যেমন ভালো পেয়েছেন, তেমনি ফল বিক্রয় করে লাভবান হয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখানকার কৃষকরা এখন বিভিন্ন রকম ফলের আবাদ করছেন। সাম্মাম ফল আবাদ আমাদের কৃষিতে একটি নতুন মাত্রা সংযোজন করেছে। কৃষকরা এ ফলের চাষ বাড়ালে তারা যেমন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন, তেমনি পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে। বিভিন্ন দেশে সাম্মাম একটি জনপ্রিয় ফল।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে এটি নতুন এলেও সুপার শপগুলোতে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সদর উপজেলার এক কৃষক এর আগেও সাম্মাম চাষ করে ভালো মূল্য ও সাড়া পেয়েছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের আবহাওয়া সাম্মাম চাষের উপযোগী। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে কৃষকদের এ বিষয়ে যথাযথ সহায়তা দেওয়া হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here