• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

তিস্তায় রেড অ্যালার্ট, ফ্লাড ফিউজ বিধ্বস্তের আশঙ্কা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলের কারণে গজলডোবার ৪৪টি গেটই খুলে দিয়েছে ভারত। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের তিস্তা নদীতে। তলিয়ে যেতে শুরু করেছে নীলফামারী ও লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার তিস্তা নদীবেষ্টিত এলাকা। তিস্তা অববাহিকায় রেড অ্যালার্ট জারি করে মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে বলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলেও পানি সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে তিস্তা ব্যারাজ রক্ষায় উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত ফ্লাড ফিউজ বিধ্বস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এটি ভেঙে গেলে তিস্তা ব্যারাজের সঙ্গে লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী, পাটগ্রাম, হাতিবান্ধার সঙ্গে নীলফামারী জেলার সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা সকাল ৯টায় আরো ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তীব্র স্রোতে নদীর দুই ধারের ফসলি জমি ডুবে গেছে।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, এলাকার জিরো পয়েন্টে তিস্তার ডান তীর ও গ্রোয়েন বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে গ্রোয়েন বাঁধটির উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ওই গ্রোয়েনটি বিধ্বস্ত হলে ডান তীর বাঁধসহ এলাকার শত শত বাড়ি তিস্তা নদীতে ভেসে যাবে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, তিস্তা বাজার, তেলিরবাজার, দোলাপাড়া, চরখড়িবাড়ি এলাকা তলিয়ে গেছে। চরের ফসলের জমি সব পানির নিচে। ঘরবাড়ি ছেড়ে মানুষজন গবাদি পশুসহ নিরাপদে সরে গেছে।

জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ২২টি চরের ৫০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম কালীগঞ্জ, আদিতমারী উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী অসংখ্য গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা চরে তিস্তার পানির তীব্র স্রোতে সদ্য নির্মিত স্বেচ্ছাশ্রমের বাঁধের প্রায় আধা কিলোমিটার বিলীন হয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত ও হুমকিতে পড়েছে কয়েক গ্রামের বাড়ি-রাস্তাঘাট।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদ্দৌলা প্রিন্স বলেন, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেও পানি সামাল দেয়া যাচ্ছে না। আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর রাখছি। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেছে। যেকোনো সময় তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড ফিউজ বিধ্বস্ত হতে পারে। আমরা তিস্তা অববাহিকায় রেড অ্যালার্ট জারি করে মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলেছি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here