• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহে স্থবির জনজীবন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

কুড়িগ্রামে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলমান এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলতি মাসের আরো দুইদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস। এই শৈত্যপ্রবাহে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন।

দিনের বেলা সামান্য কিছু সময় সূর্যের দেখা মিললেও অধিকাংশ সময়ই মিলছে না। অতিরিক্ত শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। কনকনে ঠান্ডায় নাকাল খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষ।

তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার পাঁচ শতাধিক চর ও দ্বীপচরের মানুষসহ নিম্নবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষজন। প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। রাস্তাঘাট ও বাজারে কমেছে লোকজনের আনাগোনা। ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার বোরো চাষিরা। বোরো চাষের ভরা মৌসুম চললেও কনকনে ঠান্ডায় চাষিরা ঠিকমতো মাঠে কাজ করতে না পারায় ব্যাহত হচ্ছে বোরো আবাদ। এছাড়া কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে হতদরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের।

পাঁচগাছি এলাকার কৃষক মজিবর রহমান জানান, এই ঠান্ডায় এমনিতেই হাত-পা বাইরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তার উপর পানিতে নেমে কাজ করা অসাধ্য।

কুড়িগ্রাম চরমাধবরাম এলাকার রিকশাচালক মাকরু মিয়া জানান, গত কয়েকদিন রাতের বেলা ঠান্ডা বেশি থাকলেও দিনে তেমন ঠান্ডা ছিল না। কিন্তু এখন যে অবস্থা তাতে গরম জামা কাপড় গায়ে লাগিয়ে রিকশা নিয়ে বেরিয়েছি। কিন্তু টেকা যাচ্ছে না। শিরশির বাতাস জামা-কাপড় ভেদ করে ভেতরে ঢুকছে।

উত্তর নওয়াবস এলাকার দিনমজুর শামসুল হক জানান, অতিরিক্ত ঠান্ডায় মাটির ভাড় ডালি বহন করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। গত দুদিন ঠান্ডায় কাজকর্ম করতে পারিনি। আজ কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে দিন অতিবাহিত করতে হবে।

অন্যদিকে টানা শীতে জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগে।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা গত ১৭ দিন ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে জেলাজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে। যা আরও দুইদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়াও ফেব্রুয়ারি মাসে দুটি শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। যা হতে পারে মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here