• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

মুকুলে ভরে গেছে আম বাগান, ভালো ফলনের আশা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

বাগানে সারি সারি আম গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল, ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ। মধুমাসের আগমনী বার্তা জানাচ্ছে আমের মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা আম বাগান মালিকদের।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, রংপুর জেলায় এ বছর ৩ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। এর মধ্যে হাড়িভাঙ্গা আমের বাগান রয়েছে এক হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে। বিগত বছরের চেয়ে এবার হাড়িভাঙ্গা আমের মুকুল বেশি দেখা যাচ্ছে গাছগুলোতে। মুকুল রক্ষায় কৃষকেরা কীটনাশক স্প্রে, সার ও সেচ প্রয়োগে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। রংপুরের কৃষি অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখা হাড়িভাঙ্গা নিয়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

হাড়িভাঙ্গা আমের অধিক চাষকৃত এলাকা রংপুরের মিঠাপুকুরের রানী পুকুর, শেকুরপাড়া, ফুলচৌকি, আখিরা হাট। বদরগঞ্জের শ্যামপুর, পদাগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে গাছে গাছে মুকুলের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। আমের চাহিদা ও ব্যবসা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে বাগানের পরিধি বাড়িয়েছেন। পুকুরপাড়, বাড়ির আঙিনা, এমনকি ধানি জমির আইলেও অনেকে হাড়িভাঙ্গা আমের গাছ লাগিয়েছেন।

রানীপুকুর এলাকার নওশের আলী জানান, তিনি পাঁচ একর জমির একটা আমবাগান বেশ চড়া দামে লিজ নিয়েছেন। বাগানে পর্যাপ্ত মুকুল এসেছে, চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে আমের ভালো ফলন পাওয়া যায়।

আব্দুস সালাম সরকার বলেন, কমবেশি সব কৃষক হরমোন ব্যবহার করায় প্রতিটি গাছে মুকুল এসেছে। সার, কীটনাশক, বিদ্যুতের দাম বেশি হওয়ার কারণে চাষিদের উৎপাদন খরচ বাড়বে। আশা করছি আম চাষিরা ন্যায্যমূল্য পাবে।

হাড়িভাঙ্গা আম যেহেতু বেশিদিন রাখা যায় না, তাই এ আমের উন্নয়নে কৃষি বিজ্ঞানীদের বিশেষ নজর দেওয়ারও আহবান জানান তিনি।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমকে ঘিরে রংপুরের কৃষি অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। প্রতি বছরই ৩ থেকে ৪'শ কোটি টাকার আমের বাণিজ্য হয়। এ বছর আমের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। আম গাছ পরিচর্যায় কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here