• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

পীরগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো যেন দৃষ্টি নন্দন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুরের পীরগঞ্জে ভুমিহীন ও অসহায়দের জন্য গড়ে উঠছে একের পর এক আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর । সেই সাথে আবাসন  প্রকল্পের রঙ্গিন এই ঘরগুলো সৌন্দর্যে হয়ে উঠছে দৃষ্টি নন্দন। দূর থেকে দেখে মনে হয় আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘরগুলো শহরের রুপ নিয়েছে।

উপজেলার কয়েকটি আশ্রয়ণ কেন্দ্র ঘুরে কথা হয় কাদিরাবাদ এলাকার তাহেরা বেগমের সাথে। তিনি আমাদের প্রতিবেদকে বলেন, জায়গা জমি না থাকায় অসহায় হয়ে মেয়ের বাড়ির বারান্দায় বসবাস করছি । কোথাও কোন ঠাই না পেয়ে  শরম সলজ্জ ত্যাগ করে ওখানে বসবাস করছি। হায়রে কপাল জায়গা জমিও নেই, স্বামীও বেচে নেই। সরকারি পাকা ঘরের স্বপ্ন দেখি আমার কপালে কবে জুটবে ইটের ঘর। অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে শেখ হাসিনার উপহার একটি ঘর আমি বরাদ্দ পেয়েছি । ঘরটি পেয়ে আমি মহাখুশি  বাবা। আমার কিছু থাক বা না থাক, এখন আমি মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু পাব।

পাট উজিরপুর আশ্রয়ণপ্রকল্পে ঘর বরাদ্দ পেয়ে আব্দুর রশিদ ও শহিদ মিয়া বলেন, আগের আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘরগুলোর চেয়ে বর্তমানে ঘরগুলো  নিখুঁত ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। ১ শ বছরেও এই ঘরগুলোর কিছুই হবে না। আবাসন প্রকল্পের ঘর উপহার  পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পীরগঞ্জের এমপি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কে অভিনন্দন জানান।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, প্রকল্পের ঘরগুলো এখন মজবুত ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। ঘর তৈরিতে উপজেলা প্রশাসন সবসময়  তদারকি করছে, যে কারনে এতো শক্তিশালী ও মজবুত  হয়েছে এই ঘরগুলো । একসাথে অনেকগুলি ঘর স্থাপন করার কারনে পাট উজিরপুর  আশ্রয়ণ প্রকল্পটির সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে।

এলাকার  জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, ছোট্ট ছোট্ট ঘরগুলো ভালোমানের মালামাল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অসহায় মানুষগুলো তাদের দুঃখ কষ্ট ভুলে গিয়ে মহাআনন্দে রঙিন এই ঘরে বসবাস করবে।

চতরা ইউনিয়ন সহকারী ভুমি  কমিশনার নূরে আলম মিয়া জানান, ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছে শুধু ভুমিহীনদের জন্য। এলাকার ভুমিহীন ও অসহায়দের খুঁজে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তালিকা অন্তর্ভুক্ত কাজে কোনপ্রকার গাফিলতির আশ্রয় নেয়া হয়নি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,  প্রকল্পের  ঘরগুলো নির্মণ করা হচ্ছে  সঠিক মানের সামগ্রিক দিয়ে। কাজের মান ভালো রাখতে আমাদের অফিসের লোকজন সবসময়ই ইট, সিমেন্ট, রড এবং মিস্তিরি হাতের কাজ তদারকি করছে।  নির্মান কাজ সম্পন্ন করে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হবে। পীরগঞ্জের ভুমিহীনদের স্বপ্নপূরণ করতে আমরা ভালোমানের গৃহ নির্মাণ করে তাদেরকে উপহার দিতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিটি ঘরের জন্য ভালোমানের মালামাল সরবরাহ করে থাকি। সেই সাথে ভালো মিস্তিরি দিয়ে গরগুলো নির্মাণ করার চেষ্টা করছি । শতবছরেও ঘরগুলোর কিছুই হবেনা ইনশাল্লাহ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হাসান বলেন, আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো সুন্দর করার জন্য সবসময়ই চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখানকার  মানুষগুলো যেন ভালোমানের ঘরে সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করতে পারে। প্রতিটি এলাকায় আমরা অসহায় ও ভুমিহীন পরিবারের লোকজন বাছাই করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়ার চেষ্টা করেছি। পর্দায়ক্রমে উপজেলার সকল অসহায় মানুষদের জন্য আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহ নিশ্চিত করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here