• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

এবারও নৌকায় ভরসা রাখতে চায় বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জের মানুষ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুর-২ আসনের দুই বারের এমপি ও আধুনিক বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জের রূপকার, শিক্ষা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অভূতপূর্ণ উন্নয়নকারী আহসানুল হক চৌধুরী ডিউককে এবারও এমপি হিসেবে পেতে একাট্টা হয়েছেন তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ।

আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করতে চান তারা। এজন্য দলমত নির্বিশেষে ডিউকের জন্য জনে জনে, দলে দলে পাড়া-মহল্লায় ছুটছেন তৃণমূলের সাধারণ মানুষ।

এলাকাবাসীর দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারাগঞ্জের জনসভায় নিজেই ডিউককে ছেলে হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তার জন্য ভোট চেয়েছেন। এলাকার উন্নয়ন হলে তার হাত ধরেই হবে। রংপুর-২ এর উন্নয়ন করতে হলে ডিউকের বিকল্প নেই। এই জন্য আমরা তাকে ভোট দিবো। আমাদের উন্নয়ন দরকার।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুরের বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ এখন আলোকিত। অন্য যে কোন আসনের চেয়ে উন্নয়নে আলোচিত। গত দশ বছরে এমপি ডিউকের হাত ধরে দুটি কলেজ ও দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করা হয়েছে। বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ উপজেলার মানুষের অল্পটাকা খরচে চিকিৎসাসেবা দিতে এই দুই উপজেলার দুই হাসপাতালে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে বেড সংখ্যাও। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যাতে কম খরচে অ্যাম্বুলেন্স সেবা পান সেজন্য আধুনিক দুইটি অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দুই উপজেলার শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যাতে ভালো পরিবেশে পাঠদান করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে দুই উপজেলায় ২২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির আওতায় এনেছেন এমপি ডিউক চৌধুরী। এতে করে প্রায় আড়াই লাখ পরিবারের উপার্জনের সক্ষমতা হয়েছে। পরিবারগুলো এখন নিশ্চিন্তভাবে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে আর্থিক সংকটহীনতায় আছেন।

জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উপজেলা শহর থেকে গ্রামের প্রত্যন্ত পাড়া মহল্লায় এখন পাকা সড়ক। খড়া-বন্যা মৌসুমে যেসব এলাকায় মানুষ চলাচল করতে পারতো না, সেসব এলাকাসহ সাড়ে তিন’শ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণ করা হয়েছে। তারাগঞ্জে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি করা হয়েছে। দুটি মডেল মসজিদ করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের জন্য তাদের মন্দির সংস্কারের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় সব কাজ করা হয়েছে। যাতে প্রান্তিক পর্যায়ের খেটে খাওয়া মানুষ নিশ্চিন্তভাবে দিনাতিপাত করতে পারে। ভূমিহীনদের জন্য সরকারিভাবে ঘর বরাদ্দ এবং তা তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

হাবিবুর রহমান নামে এক শিক্ষক জানান, আগে যখন আমার প্রতিষ্ঠান এমপিও হয়নি তখনকার কষ্টের কথা মনে করলে চোখে পানি আসে। পরিবারের লোকজন ভীষণ কষ্টে ছিল। যখন ডিউক স্যার আমাদের প্রতিষ্ঠান এমপিও করে দিলেন তখন সেই কষ্ট আর থাকল না। তিনি ছাড়া আমাদের ২৫ জনের পরিবার অনিশ্চত ছিল। আমরা এবারও শিক্ষক সমাজ ডিউক স্যারের জন্য ভোট করতেছি। স্যার এবারও বহু ভোটে জিতবে।

তারাগঞ্জের হারিয়ার কুটি ইউনিয়নের আজম আলী জানান, এমরা এবারও ডিউককে ভোট দেমো। ডিউক আমাদের অনেক উন্নয়ন করেছে। এলাকার ব্রিজ কালভার্ট করে দিয়েছে। এখানে পল্লী উন্নয়ন করে দিয়েছে।

তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জে গিয়ে দেখা গেছে, এখানে তিনজন প্রার্থী থাকলেও মূলত ডিউক বিপুলভোটে বিজয়ী হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

বদরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের ভোটার রায়হানসহ একাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ভোটের আগে সবাই তো অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়। এবারও হামরা নৌকা মার্কায় ভোট দেমো।

তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ভোটার রহিদুল ইসলাম বলেন, কায় কি কয় কউক হামার এলাকায় সব্বাই নৌকায় ভোট দিবে। নৌকা ছাড়া উন্নয়ন হবে না।

আওয়ামীলীগ প্রার্থী ডিউক চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে মঙ্গা কবলিত এই এলাকার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এবারও তারা নৌকার জয় নিশ্চিত করবেন বলে প্রত্যাশা করি। প্রধানমন্ত্রী এসে আমার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, আমি এই এলাকার যে উন্নয়ন করেছি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসে আমার জন্য ভোট চেয়েছেন সুতরাং বদরগঞ্জ তারাগঞ্জের মানুষ আমাকে ভোট দিবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here