• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook

ছুরি দিয়ে হাতে কোপ দিয়ে বিয়ে ভাঙাই ছিল তার মূল টার্গেট! 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

ছুরি দিয়ে হালকাভাবে তার হাতে কোপ দিয়ে দুর্নাম রটিয়ে বিয়ে ভাঙাই ছিল টার্গেট। কিন্তু ঘটনার সময় ক্ষোভে তিনি উপর্যুপরি আঘাত করেন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারমিনা। 

রংপুরের বদরগঞ্জে বিয়ের দিনে ছুরিকাঘাতে মাদরাসাছাত্রী তারমিনা আক্তার হত্যাকাণ্ডের কারণ জানিয়েছেন অভিযুক্ত শাখাওয়াত হোসেন।

২৮ জুলাই উপজেলার লোহানীপাড়া ইউপির সাজানো গ্রামে বিয়ের দিন সকালে তারমিনাকে ছুরিকাঘাত করেন শাখাওয়াত। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

২৯ জুলাই শাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে তারমিনার মামা নূর আলম মামলা করেন। পরে ওই মামলা হত্যা মামলায় পরিবর্তন করা হয়। সোমবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে পলাতক শাখাওয়াত হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার বিকেলে শাখাওয়াত হোসেনকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতার শাখাওয়াত হোসেন মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা এলাকার পশ্চিম বড়বালার মোনায়েম হোসেনের ছেলে।

তারমিনার দূর সম্পর্কের আত্মীয় শাখাওয়াত। তিনি বিভিন্ন সময় তারমিনাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তবে, বাবা-মা ২৮ জুলাই অন্যত্র তারমিনার বিয়ে ঠিক করেন। এর জেরেই ওইদিন সকাল তারমিনার বাড়িতে গিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করেন শাখাওয়াত। 

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাখাওয়াত বলেন, আমি মনে প্রাণে তারমিনাকে ভালোবাসতাম। বিয়ে ঠিক হওয়ার কথা শুনে আমার মাথায় আগুন ধরে যায়। বিয়ে বানচাল করাই ছিল আমার মূল টার্গেট ছিল। এ কারণে হালকাভাবে তার হাতে ছুরি দিয়ে কোপ দেই। এতে হয়তো বর পক্ষ ভাববে আমার সঙ্গে তারমিনার প্রেম আছে। এ দুর্নাম রটলে বিয়ে ভাঙবে। কিন্তু কিভাবে তাকে একের পর কুপিয়েছি তা আর বলতে পারছি না।

বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশের যৌথ অভিযানে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়ার জন্য তাকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here